দেহশুদ্ধি আর চিত্তশুদ্ধি, দুটি বড় কথা - Spirituality Religion

Header Ads

দেহশুদ্ধি আর চিত্তশুদ্ধি, দুটি বড় কথা

‘দেহশুদ্ধি আর চিত্তশুদ্ধি, দুটি বড় কথা’
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
      দেহশুদ্ধির জন্য প্রয়োজন ব্রহ্মচর্যের, আর চিত্তশুদ্ধির জন্য প্রয়োজন নির্মল চিন্তার।  ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে হয়, “ঠাকুর, কৃপা করে জ্ঞানের আলো তোমার নিজের ওপর একবার ধর, আমি তোমায় দর্শন করি।”
      কি সন্ন্যাসী, কি গৃহী—পথ তো সেই এক ‘রয়্যাল রোড’।  দেহ আর মনে বিশুদ্ধ হও।  আর কি ?  মনে, বনে, কোণে।  কারোকে দেখাবার প্রয়োজন নেই, হাঁক-ডাক করার প্রয়োজন নেই, তুমি আছ, “তুমি রবে নীরবে, হৃদয়ে মম।”  আর কি ?  তুলসীদাসকে স্মরণ করি—এক ঘন্টা, আধ ঘন্টা, এমনকি আধেরও আধ ঘন্টা যদি সাধুসঙ্গ করা যায়, তাহলে সেই সাধুসঙ্গ কোটি অপরাধ হরণ করে।
      ঠাকুর বলছেন—“দেখ !  ঈশ্বরকে দেখা যায়।  ‘অবাঙ্মনসগোচরম্’ বেদে বলেছে।  এর মানে বিষয়াসক্ত মনের অগোচর।  বৈষ্ণবচরণ বলত, তিনি শুদ্ধ মন, শুদ্ধ বুদ্ধির গোচর।  তাই সাধুসঙ্গ, প্রার্থনা, গুরুর উপদেশ—এইসব প্রয়োজন।  তবে চিত্তশুদ্ধি হয়।  তবে তাঁর দর্শন হয়।  ঘোলা জলে নির্মলি ফেললে পরিষ্কার হয়, তখন মুখ দেখা যায়।  ময়লা আর্শিতেও মুখ দেখা যায় না।
      স্বামীজী বলছেন—হৃদয় যদি রাঙিয়া যায়, তবে আর বাহিরের রঙের আবশ্যক নাই।  ধর্ম অনুভব করিলে তবেই কাজ হইবে।  যদি দেহমন শুদ্ধ না হয় তবে মন্দিরে গিয়া শিবপূজা করা বৃথা।
              ।।  হরিঃ  ওঁ  তৎ  সৎ  ।।

No comments

Powered by Blogger.