প্রশ্ন : ব্যাসদেবের জন্মতিথিকে কেন ‘গুরুপূর্ণিমা বলা হয় ?
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
মহারাজ
:
এককথায়
বেদ-উপনিষদের
দুরূহ তত্ত্বগুলিকে পুরাণাদি
রচনার দ্বারা সর্বসাধারণের
কাছে সহজবােধ্য করেছেন বলে
ব্যাসদেব ‘গুরু’ নামে পূজিত।
বেদকে ‘বিভাগ’ করেছেন বলে
তিনি বেদব্যাস’ নামেও খ্যাত।
এছাড়া তিনি সমস্ত উপনিষদের
মূল বিষয়গুলিকে সুশৃঙ্খলভাবে
লিপিবদ্ধ করে ‘ব্রহ্মসূত্র
রচনা করেছেন। অষ্টাদশ পুরাণও
তাঁরই রচনা বলে কথিত। আবার
মহাভারতও তাঁর রচনা। মহাভারতেরই
অংশবিশেষ গীতা,
যাতে
সকল শাস্ত্রের মূল বিষয়গুলি
অতি সহজভাবে লিপিবদ্ধ করা
হয়েছে। মহাভারত ও পুরাণগুলি
ছাড়াও ব্যাসদেবের রচনা বলে
কথিত একটি সংহিতা গ্রন্থও
আছে,
যাতে
হিন্দুদের আচার-পদ্ধতির
বর্ণনা আছে। উনিশটি সংহিতার
মধ্যে ব্যাস সংহিতা'
অন্যতম।
প্রশ্ন : গুরু চিনব কী করে, মহারাজ-একটু বিস্তৃত বলবেন।
মহারাজ : গুরুর প্রধান গুণ হচ্ছে তিনি শাস্ত্রজ্ঞ এবং ‘ব্রহ্মনিষ্ঠ’ হবেন। তার আচরণ শাস্ত্রসম্মত হবে। স্বার্থবুদ্ধি-রহিত হয়ে কেবল শিষ্যের প্রতি করুণাচিত্তে অজ্ঞানসমুদ্র থেকে উদ্ধারের উপায় উপদেশ করবেন। ‘শ্রোত্রিয়’ এবং ‘ব্রহ্মনিষ্ঠ’—এই দুটি কথা গুরু সম্বন্ধে বলা হয়। শাস্ত্রজ্ঞান
প্রশ্ন : গুরু চিনব কী করে, মহারাজ-একটু বিস্তৃত বলবেন।
মহারাজ : গুরুর প্রধান গুণ হচ্ছে তিনি শাস্ত্রজ্ঞ এবং ‘ব্রহ্মনিষ্ঠ’ হবেন। তার আচরণ শাস্ত্রসম্মত হবে। স্বার্থবুদ্ধি-রহিত হয়ে কেবল শিষ্যের প্রতি করুণাচিত্তে অজ্ঞানসমুদ্র থেকে উদ্ধারের উপায় উপদেশ করবেন। ‘শ্রোত্রিয়’ এবং ‘ব্রহ্মনিষ্ঠ’—এই দুটি কথা গুরু সম্বন্ধে বলা হয়। শাস্ত্রজ্ঞান
থাকলে
প্রকৃত তত্ত্ব বােঝাতে পারবে
না,
আবার
ব্রহ্মনিষ্ঠ না হলে সংশয় দূর
হয় না। ব্যাবহারিক জীবনের
গুরুর
সঙ্গে আধ্যাত্মিক জীবনের
গুরুর এখানেই পার্থক্য।
গুরু কেমন ? না, ‘শ্রোত্রিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠ’-শাস্ত্র বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং ব্রহ্মস্বরূপে প্রতিষ্ঠিত।
শিষ্য গুরুর কাছে কেমনভাবে যাবে ?
‘সমিৎপাণিঃ—অর্থাৎ গুরুসেবার উপযুক্ত উপকরণাদি নিয়ে, সেবার ভাব নিয়ে যাবে। পুরাণ ও উপনিষদের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ আছে, কোন বিদ্যাকে সঠিকভাবে জানতে হলে সে-বিদ্যায় অভিজ্ঞ ব্যক্তির শরণাপন্ন হতে হয়। বিশেষত অধ্যাত্মবিদ্যা সম্বন্ধে নির্দেশ আছে যে, যারা ‘সংসার-দাবানলতপ্ত’—সংসারের দুঃখতাপে জর্জরিত, তারা দুঃখ নিবৃত্তির জন্য গুরুর কাছে গিয়ে একান্তভাবে উপদেশ প্রার্থনা করবে “কীভাবে এই ভবসমুদ্র থেকে উত্তীর্ণ হব, আমার প্রকৃত আশ্রয় কোথায়, কী-ই বা সাধনপদ্ধতি গ্রহণ করব—এসব আমি কিছুই জানি না। হে প্রভাে, কৃপা করে আপনি আমাকে রক্ষা করুন, আমার সংসার-দুঃখ নিবৃত্তির উপায় বলে দিন।” প্রকৃত গুরুর যেমন কতকগুলি বিশেষ গুণ থাকা দরকার, তেমনি শিষ্যেরও অর্থাৎ যে গুরুর কাছ থেকে উপদেশ ও নির্দেশ পেতে চায়, তারও কতকগুলি বিশেষ গুণ থাকা দরকার। তবেই গুরুর নির্দেশ কার্যকর হবে। সেগুলি হল—পবিত্রতা, গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা ও তার কথায় বিশ্বাস।
গুরু কেমন ? না, ‘শ্রোত্রিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠ’-শাস্ত্র বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং ব্রহ্মস্বরূপে প্রতিষ্ঠিত।
শিষ্য গুরুর কাছে কেমনভাবে যাবে ?
‘সমিৎপাণিঃ—অর্থাৎ গুরুসেবার উপযুক্ত উপকরণাদি নিয়ে, সেবার ভাব নিয়ে যাবে। পুরাণ ও উপনিষদের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ আছে, কোন বিদ্যাকে সঠিকভাবে জানতে হলে সে-বিদ্যায় অভিজ্ঞ ব্যক্তির শরণাপন্ন হতে হয়। বিশেষত অধ্যাত্মবিদ্যা সম্বন্ধে নির্দেশ আছে যে, যারা ‘সংসার-দাবানলতপ্ত’—সংসারের দুঃখতাপে জর্জরিত, তারা দুঃখ নিবৃত্তির জন্য গুরুর কাছে গিয়ে একান্তভাবে উপদেশ প্রার্থনা করবে “কীভাবে এই ভবসমুদ্র থেকে উত্তীর্ণ হব, আমার প্রকৃত আশ্রয় কোথায়, কী-ই বা সাধনপদ্ধতি গ্রহণ করব—এসব আমি কিছুই জানি না। হে প্রভাে, কৃপা করে আপনি আমাকে রক্ষা করুন, আমার সংসার-দুঃখ নিবৃত্তির উপায় বলে দিন।” প্রকৃত গুরুর যেমন কতকগুলি বিশেষ গুণ থাকা দরকার, তেমনি শিষ্যেরও অর্থাৎ যে গুরুর কাছ থেকে উপদেশ ও নির্দেশ পেতে চায়, তারও কতকগুলি বিশেষ গুণ থাকা দরকার। তবেই গুরুর নির্দেশ কার্যকর হবে। সেগুলি হল—পবিত্রতা, গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা ও তার কথায় বিশ্বাস।
No comments