প্রশ্ন : আমরা তাে সকলেই এই পথে চেষ্টা করছি সাধ্য অনুসারে। আমরা সবাই ঠিক পথে এগচ্ছি কিনা, এটা বােঝার মাপকাঠি কী?
Ma
Bhabatarini (Kali)
|
Sri
Sarada Devi
|
Swami
Shivananda
|
BANERSHAR
SHIVA LINGA
|
Sri
Sarada Devi
|
Swami
Vivekananda
|
Sri
Sarada Devi, Swami Vivekananda, Swami Shivananda
|
প্রশ্ন
:
আমরা
তাে সকলেই এই পথে চেষ্টা করছি
সাধ্য অনুসারে। আমরা সবাই
ঠিক পথে এগচ্ছি কিনা,
এটা
বােঝার মাপকাঠি কী?
মহারাজ
:
প্রথম
কথা বিশ্বাস। গুরু ও বেদান্ত-বাক্যে
বিশ্বাস। অর্থাৎ,
গুরু
ও শাস্ত্র-বাক্যে
বিশ্বাস। এটি হল প্রথম কথা।
আর দ্বিতীয়
কথা
হচ্ছে,
আন্তরিক
চেষ্টা। তাহলে এগনাে সম্ভব।
আবার
এগুলাে হচ্ছে কিনা,
বুঝব
কী করে?
তা
ভাগবতে একটি শ্লোক আছে—যে
ভগবানের
শরণাপন্ন হয়,
তার
এ-তিনটি
একসঙ্গে
হয়- “ভক্তিৰ্বিরক্তিৰ্ভগবৎ
প্রবােধঃ'।
ভগবানেতে
অনুরাগ বাড়বে।
ভগবান ছাড়া অন্য বিষয়েতে
বৈরাগ্য আসবে। আর ভগবৎস্বরুপ
সম্বন্ধে সন্দেহ দূর হবে। এই
তিনটি ।
যেমন যেমন মানুষ এগবে সমভাবে
তার ভিতরে প্রকাশিত হবে।
শ্লোকটি হল
“ভক্তিঃ
পরেশানুভবাে বিরক্তিরন্যত্র
চৈষ ত্রিক এককালঃ। প্রপদ্যমানস্য
যথাশতঃ স্যুস্তুষ্টিঃ পুষ্টিঃ
ক্ষুদপায়ােহনুঘাস।”
(ভাগবত,
১১।২।৪২)
|
এরকম
দৃষ্টান্ত দিয়েছেন—যেমন
একজন খেতে পায়নি। তার না
খাওয়ার জন্য খিদেয় কষ্ট
হয়,
দুর্বলতা
বােধ হয় এবং মনে একটা অশান্তি
জাগে। তাকে যখন খেতে দেওয়া
হয়,
তখন
গ্রাসে-গ্রাসে
তার খিদের কষ্ট দূর হয়। তার
শরীরে সে যেন বল পায়। আর মনের
যে অসন্তোষ সেটা দূর হয়।
এইরকম যারা ভগবানের শরণাপন্ন
তাদের এই তিনটি একসঙ্গে হয়।
ভক্তিৰ্বিরক্তিভগবৎপ্রবােধঃ—এই
তিনটি।।
প্রশ্ন:- এই
যুক্তি। —অর্থাৎ,
মনের
ভাবটা। আমাদের যেরকম মনের
ভাব,
তাকেই
ঈশ্বরের গুণ বলে আমরা বলছি,
তাহলে
ঈশ্বরকে যে দয়াময় বলি বা
অন্যান্য যেসমস্ত গুণ সেগুলাের
তাে বাস্তবতা থাকছে না—সত্যতা
থাকছে।
মহারাজ
:
যে
ঈশ্বরকে জেনেছে সে বলতে পারবে।
যে জানেনি সে কী করে বলবে যে,
তিনি
কেমন। কাজেই সেও যে বলে দয়াময়,
কারণ
সে নিজে দয়ার প্রার্থী বলে
বলছে—দয়াময়। শিখেরা ঠাকুরকে
বলছেন :
“ভগবান
দয়াময়।” ঠাকুর বলছেন :
“দয়াময়
কেন?”
তাঁরা
বললেন :
“তিনি
আমাদের এই করেছেন,
ঐ
করেছেন।” ঠাকুর বলছেন :
“তার
সন্তান তিনি পালন করবেন,
তাতে
আর বাহাদুরি কী আছে?”
No comments