প্রশ্ন : স্বামীজীকে প্রতিবেশীরা অহঙ্কারী ভাবত। কিন্তু জীবনীকারেরা বলেছেন, এটা আত্মবিশ্বাস বা Self-confidence. Self-confidence অথবা Self assertion-এদের পার্থক্যটা কীভাবে বােঝা যায়? - Spirituality Religion

Header Ads

প্রশ্ন : স্বামীজীকে প্রতিবেশীরা অহঙ্কারী ভাবত। কিন্তু জীবনীকারেরা বলেছেন, এটা আত্মবিশ্বাস বা Self-confidence. Self-confidence অথবা Self assertion-এদের পার্থক্যটা কীভাবে বােঝা যায়?

Sri Ramakrishna


Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna
প্রশ্ন : স্বামীজীকে প্রতিবেশীরা অহঙ্কারী ভাবত। কিন্তু জীবনীকারেরা বলেছেন, এটা আত্মবিশ্বাস বা Self-confidence. Self-confidence অথবা Self assertion-এদের পার্থক্যটা কীভাবে বােঝা যায়?
মহারাজ : একজন মানুষকে শুধু তার কথা বা আচরণ দিয়ে বিচার করা যায় না। স্বামীজী যদি অহঙ্কারী হতেন, তাহলে অপরকে তুচ্ছ করতেন। তা তিনি করতেন না। তিনি বলতেন, সকলের ভিতরেই সেই ব্রহ্লা রয়েছেন। কাজেই এটা অহঙ্কারের কথা নয়। এইসব দিক দিয়ে দেখতে হবে। স্বামীজী তার গুরুভাইদের বকেছেন। শরৎ মহারাজকে বলেছেন : দে, দে, রেখে দে—এক ছটাকে বুদ্ধি, খরচ করিস নে, সুদে বাড়বে।” যার ওপরে তিনি সমস্ত সংঘের ভার দিয়ে যাবেন সেক্রেটারি করে—তাকে এই কথা বলেছেন। তারপর অন্য গুরুভাইদেরও তাে এরকম কত বকেছেন। চেলাদের তাে কথাই নেই। কিন্তু ভালবাসা কত! কাজেই এই ভালবাসা দিয়ে, সেই background দিয়ে বিচার করতে হবে। 
প্রশ্ন : আত্মশ্লাঘা কী করে বুঝব? এটি দূর করার উপায় কী? 
মহারাজ : অপরের অহঙ্কার বিচার করার চেয়ে নিজের অহঙ্কার কিনা—বিচার কর। নিজের অহঙ্কার কিনা বিচার করলে আর অহঙ্কার থাকবে না। পালিয়ে যাবে। নিজেকে বিচার করলে দেখবে, তুমি কত বিষয়েতে অপরের চেয়ে ছােট। সুতরাং অহঙ্কার রাখবার জায়গা পাবে 
। অহঙ্কার আসতে পারবে না। 
প্রশ্ন : ঠাকুর বলছেন : “লােকে কত পূজা জপ-তপ করে, কিন্তু বিশ্বাস নাই।” এর মানে কী
মহারাজ : বিশ্বাস নেই এইজন্য যে, এত করেও বলে—‘পাপ’ ‘পাপ। জপ-তপ এত করেও বলে—“পাপী’ ‘পাপী। নামে বিশ্বাস থাকলে আর নিজেকে ‘পাপী’ বলত না। এগুলির দ্বারা আমার সমস্ত মলিনতা দূর হবেএই বিশ্বাস থাকা চাই। তাঁর নামেতে এসমস্ত মলিনতা দূর হয়ে যাবে। 
নামেতে কাল-পাশ কাটে, জটে তা দিয়েছে রটে, আমরা তাে সেই জটের মুটে, হয়েছি আর হব কার। 
নামেরই ভরসা কেবল শ্যামা গাে তােমার।” এক রাজার ব্ৰত্মহত্যা পাপ হয়েছে। সে এক ঋষির কাছে ব্ৰত্মহত্যার পাপ কী করে যাবে, তার বিধান নিতে গেল। ঋষি বাড়ি নেই। তার ছেলে ছিল। রাজা বললে : “তুমি বিধান দাও।” ছেলে বলল : “তিনবার রামনাম কর। তিনবার রামনাম কর, যত পাপ-তাপ সব চলে যাবে।” তারপর ঋষি যখন ফিরে এলেন, ছেলে ঋষিকে বলছে : “এক রাজা এসেছিল। তার ব্রম্মহত্যা পাপ হয়েছে, তার প্রায়শ্চিত্ত কী করে হবে আমায় জিজ্ঞেস করেছে। তা আমি বলেছি, তিনবার রামনাম করতে।” ঋষি বললেন : “বলিস কীরে? এক রামনামে কোটি ব্ৰত্মহত্যা হরে। তিনবার রামনাম করাইলি তারে?” এত বিশ্বাস—এক রামনামে কোটি ব্ৰত্মহত্যা হরে! এর নাম বিশ্বাস। 
প্রশ্ন : মহারাজ, আরেকটা প্রশ্ন করছি। আমরা সবসময় শুনছি বা বলি, ভগবানলাভ, ভগবানলাভ। ভগবানলাভ—এক-এক জন এক-এক রকম করে ব্যাখ্যা করেন বা বােঝাতে চান। যেমন কেউ হয়ত অনাহত ধ্বনি শােনা, কেউ দেবদেবীর মূর্তিদর্শন বা জ্যোতির্দর্শন ইত্যাদি বলে বােঝাতে চান। 
মহারাজ : অনাহত ধ্বনি শােনাকে ভগবানলাভ কেউ বলে না। 
প্রশ্ন:-কী দেখে বা কীভাবে বুঝব সেটি ভগবানলাভ, বা ভগবানলাভ বলতে কী বুঝব? 
মহারাজ : ভগবানলাভ ঠিক ঠিক বুঝতে হলে বুঝবে যে, ভগবান যেমন শুদ্ধ, পবিত্র ও সর্বগুণসমন্বিত যে তাকে লাভ করেছে সেও ঐরকম পবিত্র শুদ্ধ ও সর্বগুণসমন্বিত হবে। এইভগবানলাভ মানে। সর্বগুণসমন্বিত হবে। আর তার অহঙ্কার থাকবে না। অভিমান থাকবে ভয় থাকবে না। আর ঐ যে সিদ্ধের লক্ষণ গুলি ঐগুলি ফুটে উঠবে তার ভিতরে। এই।

No comments

Powered by Blogger.