মা মাষ্টার মশাইকে বলিলেন মায়ের কাছে এসেছ; এখন এত ধ্যানজপের কী দরকার? আমিই যে তােমাদের জন্য সব করছি। এখন খাও দাও, নিশ্চিন্তে মনে আনন্দ কর।
ভাল কাজ বা ভগবানকে ডাকতে হলে খুব আন্তরিক যত্ন ও রােখ চাই।
সকাল সন্ধ্যা বসবে। আর মাথা ঠাণ্ডা রেখে জপধ্যান করবে। এর চেয়ে মাটি কোপান সােজা কাজ।
গুরুভক্তি থাকা চাই, গুরু যেমন হােক, তাঁর প্রতি ভক্তিতেই মুক্তি।
ঠাকুর আমাকে বলেছিলেন--- “আমার চিন্তা যে করে সে কখনও খাওয়ায় কষ্ট পায় না, তার ব্রহ্মশাপেও কিছু হয় না।
মন্ত্রের দ্বারা দেহ শুদ্ধি হয়। নারদ বৈকুণ্ঠে গিছলেন। সে চলে যাবার পর নারায়ণ মা লক্ষীকে বললেন - ওখানে গােবর দাও। কারণ মন্ত্র না নিলে দেহ শুদ্ধ হয় না।
যার আছে সে মাগাে, যার নেই সে জপাে। অর্থাৎ যার টাকা আছে সে ভক্ত, ভগবানের সেবা করুক। যার নেই সে ঠাকুরের নাম জপ করুক।
মন স্থির করে একবার ডাকলে লক্ষ জপের কাজ হয়। নতুবা সারাদিন জপ করছে কিন্তু মন নেই; তাতে ফল কি? মন চাই, তবেই তাঁর কৃপা।
সংসার মায়ার বন্ধন। তবে যার উপর যেমন কর্তব্য হাসিমুখে করে যাবে। কিন্তু জড়াবে। একমাত্র ঠাকুর ছাড়া আর কাউকে ভালবেস না। ভালবাসলে অনেক দুঃখ পেতে হবে। আর সর্বদা ভাববে আমি কার সন্তান, কার আশ্রিত। যখনই মনে কু-ভাব আসবে, মনকে বলবে – “তার ছেলে হয়ে আমি একাজ করতে পারি?” দেখবে মনে বল পাবে, শান্তি পাবে।
সাধন বল, ভজন বল, তীর্থ দর্শন বল, অর্থোপার্জন বল – সব প্রথম বয়সে করে নিতে হয়। বৃদ্ধ বয়সে কফ, শ্লেষায় ভরা, শরীরে সমর্থ নেই, মনে বল থাকে না তখন কি কোন কাজ হয় ? এই আমি তখন হেঁটে হেঁটে কাশী বৃন্দাবনে কত দর্শন করেছি। এখন দু-হাত যেতে হলে পালকি চাই, ধরে ধরে নিতে হয়।
তাছাড়া যখন তখন যার তার সঙ্গে তীর্থে যেতে নেই।
ঠাকুরের নাম নিলে সংসারের জ্বালা যন্ত্রনা সব দূর হয়ে যায়।
ধ্যান না হয়, জপ করবে। “জপাৎ সিদ্ধি’ জপ করলেই সিদ্ধি লাভ করবে।
ঠাকুরকে ডাকলেই সব হবে। ঠাকুরের কাছে যা চাইবে তাই পাবে।
আমার আর্শীবদ সবার জন্য রইল। যে এসেছে, যে আসতে পারেনি, আর যে আসবে, সকলের জন্য আমার আশীর্বাদ রইল।
সব শুনিয়া শ্রীশ্রী মা বলিয়া দিলেন, “আ-রা, মা এজন্মে মুক্ত হয়ে যাবে। গৌরী দাসীর। অসুখে যে সলতেটি পর্যন্ত উসকে দিয়েছে, সেও মুক্ত হয়ে যাবে।
মনের বাসনা যা আছে পূরণ করে নাও, পরে রামকৃষ্ণ লােকে গিয়ে চির শান্তি ভোেগ। করবে। ঠাকুর তােমাদের জন্য নতুন রাজ্য তৈরী করেছেন।
No comments