শ্রীশ্রীমায়ের অমৃত কথা 1-16

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

1. ভাঙতে সবাই পারে গড়তে পারে ক’জন ? নিন্দা ঠাট্টা করতে পারে সবাই। কিন্তু ভালো করতে পারে ক’জন ?
2. ভক্ত মন্ত্র কাহাকেও বলা যায় কি না ? মা বললেন মন্ত্র কাহারও নিকট বলতে নাই। তবে গুরু ভাইয়ের নিকট বলতে পার, তাহাতে দোষ নাই।(মা.ক.-১/১৬০)।
3. মা একবার স্বপ্নে জগন্নাথকে শিবরূপে দর্শন করিয়াছিলেন। জগন্নাথ দর্শনকালে শত সহস্র নরনারীকে ভগবানের সাক্ষাৎকারার্থে সমাগত দেখিয়া এই ভাবিয়া তাহার নয়নদ্বয় আনন্দাশ্রু প্লাবিত হইতে লাগিল, আহা বেশ এত লােক মুক্ত হবে। আৱার পরেই তাহার মনে এই সত্য উদ্ভাসিত হইল, না যারা বাসনাশূণ্য, সেই এক আধটি মুক্ত হবে।
4. সংখ্যার দিকে লক্ষ্য না রেখে এমনি জপ করবে। মন না বসলেও জপ করতে ছাড়বে না, * তােমার কাজ তুমি করে যাও। মা শুধু বলতেন-সকল অবস্থায় সন্তুষ্ট থেকে তার নাম কর। ঠিক ঠিক মন্ত্র উচ্চারণ না হলে দেরী হয়।
5. জনৈক সন্ন্যাসিনী – গুরু নিন্দা করতে নেই। শ্রীশ্রীমা – উচিত কথা গুরুকে বলা যায়। তাতে পাপ হয় না।
6. দেখ, মা, চড় খেয়ে রামনাম-অনেকেই বলে, কিন্তু শৈশব হতে ফুলের মতাে মনটি যে ঠাকুরের পায়ে দিতে পারে, সেই ধন্য।
7. সেবাপরাধ না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা চাই। তবে কি জান, মানুষ অজ্ঞ জেনে তিনি ক্ষমা করেন।
8. আজ মাস পয়লা - অগস্ত্য যাত্রা, আজ বাড়ী হতে যাত্রা করে এসে কোথাও থাকতে নেই। 
9. প্রসাদ ও হরিতে কোন প্রভেদ নেই। মনে এটি স্থির বিশ্বাস রেখাে। প্রসাদ খেলে সংস্কার কাটে।
10. এই কলিতে শুধু সত্যের আঁট থাকলেই ভগবান লাভ হয়।
11. যার ভবপারে যাবার সময় হবে সে দড়ি ছিড়ে আসবে, তাকে বেঁধেও কেউ রাখতে পারে না । 
12. “এত তাে জপতপ করলুম, কিছুই তাে হ’ল না?” উত্তরে মা বলিলেন, “একি শাক মাছ, যে দাম দিয়ে কিনে নিলুম?”
13. গুরু শিষ্য একত্রে বসবাস করা ভল নয়। কারণ একত্রে থাকলে গুরুর কার্যকলাপ দেখে অনেক সময়ই গুরুকে মানুষ বলে মনে হয় এবং তাতে শিষ্যের ক্ষতি হয়।
14. আমি ওর গুরু, ও যদি আমার কথা না রাখতে পারে, তাহলে ওর অকল্যাণ হবে?
15. কজন তাকে (ঠাকুরকে) ঠিক ঠিক চায়? সে ব্যাকুলতা কোথায়? এত ভক্তি, আগ্রহ এদিকে সামান্য একটু ভােগ বস্তু পেলেই সন্তুষ্ট। বলে, আহা ওর কি দয়া। বলে রাধু কেমন আছে? আমার মন ভেজা বার জন্য রাধুর খোঁজ আগে।
16. তেল মেখে গঙ্গায় স্নান করতে নেই।