প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী
প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী
Sri
Ramakrishna
|
স্বামী
মাধবানন্দ-প্রসঙ্গে
অন্যান্য সাধুর মুখে নিম্নলিখিত
ঘটনাগুলি শুনেছি। এক যুবক
রােজ কথামৃত পড়ে সাধু হওয়ার
জন্য বেলুড় মঠে যায়। সে
স্বামী মাধবানন্দের সেক্রেটারি
স্বামী প্রমথানন্দের সঙ্গে
দেখা করে। স্বামী মাধবানন্দের
কাছে স্বামী প্রমথানন্দ
যুবকটির সাধু হওয়ার ইচ্ছা
প্রকাশ করে। বলেন যে,
সে
রােজ কথামৃত পড়ছে।
স্বামী
মাধবানন্দজী সেক্রেটারিকে
বলেন,
“যুবকটিকে
স্বামীজীর বই রােজ পড়তে বলল।
কথামৃত পড়লে সাধু হওয়া যায়
না। কথামৃত পড়লে ভগবানলাভ
হয়। তখন কে আর সাধু হবে?
স্বামীজীর
বই পড়লে ভেতরে অনুপ্রেরণা
আসবে,
তখন
সাধু হওয়ার বাসনা জাগবে।”
Sri
Ramakrishna
|
একজন
ব্রহ্মচারী মাধবানন্দজীর
কাছে গিয়ে বলল,
“মহারাজ,
আমার
মনে বড় অশান্তি কীসে শান্তি
পাব বলে দিন।” মহারাজ বললেন,
“আমি
বড়ই দুঃখিত যে তােমার মনে
শান্তি নেই। আচ্ছা,
কলকাতা
থেকে অনেক ধনিব্যক্তি দামি
গাড়িতে করে বৌ-ছেলে-মেয়েকে
নিয়ে বেলুড় মঠে আসে। তারা
ঠাকুরকে প্রণাম করে,
তােমাকেও
প্রণাম করে শান্তি পাওয়ার
জন্য তারা তােমার পায়ের ধুলাে
নিয়ে শান্তি পায়। অথচ তুমি
বলছ যে তােমার মনে শান্তি নেই।
বলাে,
আমি
তােমার জন্য কী করতে পারি?”
এই
প্রসঙ্গে একটা ঘটনা মনে পড়ে।
স্বামী বাসুদেবানন্দ একবার
তুরীয়ানন্দজীকে প্রশ্ন
করেন,
“শান্তির
উপায় কী?”
মহারাজ
বললেন,
“বৈরাগ্যমেবাভয়—এটা
জপ করাে,
এতেই
শান্তি। কোনাে কাম্য বস্তু
পাওয়ার চেষ্টা কোরাে না।
যদি ভাল জিনিস আপনি আসে ভাল,
যদি
চলে। যায় বলবে,
‘বৈরাগ্যমেবাভয়ম্।”
বৈরাগ্য একমাত্র মানুষকে
নির্ভীক করে।
মাধবানন্দজী
একবার তাঁর সহকারী সাধুকে
বললেন,
“দেখ,
আমার
General
Secretary পদে
থাকা উচিত নয়। আমি অনুপযুক্ত।”
অপর
No comments