প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী গম্ভীরানন্দ
প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী গম্ভীরানন্দ
Sri
Ramakrishna
|
আরেক
দিন অফিসে বসে চিঠি পড়ছিলেন।
আমি ঢুকতেই বললেন,
“ওহে,
তােমার
কটা problem
আছে?”
আমি
বললাম,
“আমার
ঠাকুরের কৃপায় কোনাে personal
problem নেই,
তবে
আশ্রমের কর্ম-সংক্রান্ত
problem
আছে।
আপনার কটা problem
আছে?”
তিনি
বললেন,
“ওহে,
রােজ
mail
খুললে
২৫/৩০টা
problem
দেখি।
তুমি রােজ কটা problem
দেখ?”
আমি
বললাম,
“আপনি
মঠ-মিশনের
problem-গুলাে
solve
করেন
কী করে?”
তিনি
বললেন,
“ঠাকুরই
সব solve
করে
দেন। আমরা নিমিত্ত মাত্র।”
কোনাে
একটি উৎসবে বিকালে অদ্বৈত
আশ্রম থেকে বেলুড় মঠে গিয়েছি।
ভরত মহারাজ ও স্বামী গম্ভীরানন্দ মহারাজ
ব্রহ্মানন্দজীর মন্দিরের
সামনে দাঁড়িয়ে সভাৰ ভাষণ
শুনছিলেন। আমি ভরত মহারাজকে
প্রণাম করে ঘরে পড়ন্ত
Sri
Ramakrishna
|
রৌদ্রে
তাঁদের ছায়া না মাড়িয়ে
স্বামী গম্ভীরানন্দ মহারাজকে প্রণাম করাতে
ভরত মহারাজ বললেন,
“কি
হে,
বৈষ্ণবী
ঢং-টা
তাে বেশ শিখেছ।” আমি বললাম,
“মহারাজ,
আপনারা
গুরুজন,
তাই
আপনাদের ছায়া না মাড়িয়ে
ঘুরে এসেছি।” স্বামী গম্ভীরানন্দ মহারাজ
মজা করে বললেন,
“আমরা
কি এতই অস্পৃশ্য যে তুমি আমাদের
ছায়া পর্যন্ত মাড়াতে চাও
না।”
১৯৬৬
সালের সন্ন্যাস-ব্রহ্মচর্যের
পরে আমরা সবাই জেনারেল সেক্রেটারির
ঘরে গিয়ে বললাম,
“মহারাজ,
আমাদের
কিছু বলুন” তিনি বললেন,
“দেখ,
বলবার
এখন কিছু নেই স্বামীজীর জীবনী
লিখছি। ওতে একটা chapter
আছে—‘নবীন
সন্ন্যাসী সঙ্ঘ'।
এ-ছেলেটা
আমার হাতের লেখা সম্বন্ধে
ওয়াকিবহাল,
ওই
পড়বে” আমি সেটা পড়ে সবাইকে
শােনালাম।
Sri
Ramakrishna
|
১৯৬৯-এ
আমাদের সন্ন্যাসের পর স্বামী গম্ভীরানন্দ ও চিদাত্মানন্দজী
একদিন অদ্বৈত আশ্রমে আসেন।
স্বামী গম্ভীরানন্দ আমাকে বললেন,
“তােমাকে
এবার থেকে বক্তৃতায় বেরােতে
হবে। মিশন অফিসে তােমার নাম
আমি বক্তাদের list-এ
বসিয়ে দিয়েছি।” আমি বললাম,
“মহারাজ,
বক্তৃতা
দেওয়া আমি পছন্দ করি না। আগে
জীবন গঠন করি—তারপর বক্তৃতা।”
তিনি বললেন,
“তুমি
পছন্দ কর আর না কর,
আমি
তােমার নাম তালিকাতে ঢুকিয়ে
দিয়েছি।” চিদাত্মানন্দজী
আমাকে আড়ালে ডেকে একটু ধমক
দিয়ে বললেন,
“তুমি
জেনারেল সেক্রেটারির সঙ্গে
কথা বলতে জান না!”
আমি
কিছু বললাম না তিনি জানতেন
না যে,
স্বামী গম্ভীরানন্দ
মহারাজের সঙ্গে আমার official
. সম্পর্ক
ছিল না—তিনি ছিলেন আমার
পিতৃতুল্য,
গুরুসদৃশ,
আপনার
জন।
No comments