প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী গম্ভীরানন্দ (১৮৯৯-১৯৮৮)
প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী গম্ভীরানন্দ (১৮৯৯-১৯৮৮)
Sri
Ramakrishna
|
কোনাে
মহান ব্যক্তির স্মৃতিকথা
লেখা খুবই কঠিন;
কারণ
লেখককে সমালােচনার সম্মুখীন
হতে হয়। কেউ-বা
কটাক্ষ করে বলেন,
“এ
স্মৃতিকথা আত্মকথা?
নিজেকে
জাহির করবার জন্য লিখেছে।”
অথচ এসব মহান ব্যক্তি নিজেদের
বিষয় কিছুই লেখেন না,
বা
বলতেও চান না। তাঁদের ব্যক্তিগত
জীবনের কথা জিজ্ঞাসা করলে
অধিকাংশ সময় মৌন থাকেন বা
অন্য প্রসঙ্গ তুলে এড়িয়ে
যান। অথচ এঁদের জীবনের সঙ্গে
জড়িয়ে রয়েছে রামকৃষ্ণ
সঘের ইতিহাস,
অধ্যাত্মজীবনের
বহু গূঢ় রহস্য।
Sri
Ramakrishna
|
পূজনীয়
গম্ভীরানন্দজী মহারাজের
সঙ্গে আমার ত্রিশ বছরের পরিচয়
এবং সাত বছর তাঁর সঙ্গে থেকেছি।
আমি অদ্বৈত আশ্রম ওয়েলিংটন
লেনে প্রুফ রিডার হিসাবে আসি
১৯৫৮ সালের ১ ডিসেম্বর। তখন
গম্ভীর মহারাজ অদ্বৈত আশ্রমের
প্রেসিডেন্ট। আমি বই-এর
প্রুফ দেখার কাজ করি। একদিন
তিনি কথাপ্রসঙ্গে বললেন,
“সাধু
হতে গেলে ঝাঁপ দিতে হয়।
Calculation
করে
সাধু হওয়া যায় না। তিনি
কর্মে ও ব্যবহারে খুবই গম্ভীর
প্রকৃতির ছিলেন। এ-ব্যাপারে
তাঁর গুরুদত্ত নাম ‘গম্ভীরানন্দ'
খুবই
সার্থক। তবে আমার সঙ্গে খুবই
স্নেহপূর্ণ এবং খােলাখুলি
ব্যবহার করতেন। আমি তাঁকে
মনেপ্রাণে শ্রদ্ধা করতাম এবং
তাঁর অপূর্ব জীবন অনুসরণ করতে
চেষ্টা করতাম।
ওয়েলিংটন
লেনের বাড়ির চার তলায় তাঁর
একটি ছােট ঘর ছিল;
তার
একপাশে সরিষার স্বামী
নির্মোহানন্দজীর একখানা ছােট
খাট ছিল। তিনি সপ্তাহে তিন
দিন কলকাতায় থাকতেন। ক্যানভাসের
একটা ইজিচেয়ারে জানালা পিছন
করে বসে গম্ভীরানন্দজী লেখাপড়ার
কাজ করতেন। আমি কখনও তাঁকে
ছাদে পায়চারি করতে দেখিনি—পাছে
প্রতিবেশীদের বাড়ির দিকে
নজর যায়। অপূর্ব সংযত জীবন!
অদ্বৈত
আশ্রমে তাঁর routine
এরকম
No comments