প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী

Sri Ramakrishna



স্বামী মাধবানন্দজী রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের সঙ্ঘগুরু পদে আসীন হওয়ার পর বেলুড় মঠে দীক্ষা দিতে আরম্ভ করলেন। রেঙ্গুনে তােলা মহারাজের একটি পুরানাে আলােকচিত্র আমরা জোগাড় করেছিলাম এবং সেটাই তাঁর শিষ্যদের কাছে বিক্রি করা হতাে। তাঁর সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ অসঙ্কোচে কথা বলতাম। সেই কারণে একদিন আমি তাঁকে বললাম যে, একটা নূতন ছবি তােলার জন্য আমি কলকাতা থেকে একজন চিত্রগ্রাহককে নিয়ে আসব। প্রথমে তিনি ফটো তুলতে দিতে রাজি হননি, কিন্তু তাঁর প্রধান সেবক যখন অনুরােধ করলেন তিনি অনিচ্ছুকভাবে সম্মতি দিলেন। তিনি প্রচার এবং আড়ম্বরবিমুখ ছিলেন। একদিন বিকালে চিত্রগ্রাহককে সঙ্গে করে আমি বেলুড় মঠে গেলাম। আমার স্পষ্ট মনে পড়ে, কী নিস্পৃহভাবে তাঁর হাফহাতা ফতুয়া পালটে গেরুয়া পাঞ্জাবি এবং চাদর গায়ে দিয়ে তাঁর ঘরের দক্ষিণ দিকের বারান্দায় একটা আসনে তিনি উপবেশন করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত তাঁর ছবি তােলার
Sri Ramakrishna


Sri Ramakrishna

ব্যাপারে অদৃষ্ট আমাদের সহায় হয়নি, কারণ তাঁর চশমার কাচ ছিল পুরু, যার ফলে তাঁর চোখের ওপর আলাে ঠিকরে পড়ছিল। পরে আরেক জন চিত্রগ্রাহককে সঙ্গে নিয়ে আমি বেলুড় মঠে গেলাম। এবার আমরা লেন্স ছাড়া ফ্রেম নিয়ে গিয়েছিলাম। শ্রীরামকৃষ্ণ যেমন আড়াআড়ি পা মুড়ে বসতেন মহারাজ সেভাবে একটি আসনে বসলেন। তাঁর পায়ের পাতা দুটি দেখা যাচ্ছিল না, কারণ ডান পায়ের পাতাটি তাঁর বাম হাঁটুর নিচে ছিল। যাতে তাঁর দুটি পায়ের পাতাই দৃষ্টিগােচর হয় সেরকমভাবে বসার জন্য আমি তাঁকে অনুরােধ জানালে তিনি আমাকে মৃদু তিরস্কার করলেন এবং তারপর আমার কথামতাে বসলেন। আমি সতর্কভাবে তাঁর চাদরটা ঠিক করে দিলাম যাতে তাঁর দীক্ষিত ব্যক্তিরা ছবিতে তাঁদের
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

গুরুদেবের চরণযুগল স্পর্শ করতে পারেন। আমি যখন তাঁকে কাচবিহীন চশমার ফ্রেমটি পরতে বললাম, তিনি অসম্মত হয়ে মন্তব্য করলেন, “It will be unnatural.” তখন আমি আবার তাঁকে চশমা খুলে ফেলতে অনুরােধ করলাম, কারণ তাঁর চোখ-দুটি আদৌ দৃষ্টিগােচর হচ্ছিল না। আমি চেয়েছিলাম তাঁর শিষ্যেরা যাতে ছবিতে তাঁর চোখ-দুটি দেখতে পান। আমি যেরকম বললাম তিনি অনিচ্ছুকভাবে তা করতে রাজি হলেন। চিত্রগ্রাহক তখন তাঁর চোখের ওপরে চশমার ফ্রেমটি পরিয়ে ছবি তােলেন। মনে হয় সেসব ফটোর নেগেটিভ এবং প্রিন্ট এখনাে অদ্বৈত আশ্রমে আছে।
সঙ্ঘে যােগদানের পর আমি অন্যান্য সাধুর কাছে স্বামী মাধবানন্দজী সম্পর্কে অনেক সুন্দর সুন্দর ঘটনা শুনেছি। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে




No comments

Powered by Blogger.