প্রাচীন সাধুদের কথা _ভূতেশানন্দজী
প্রাচীন সাধুদের কথা _ভূতেশানন্দজী
Sri
Ramakrishna
|
“মহাপুরুষজী
সঙ্ঘের দুর্দিনে ও বিপদে
অবিচলিত থাকতেন। ঠাকুরের ওপর
কী দৃঢ় বিশ্বাস ছিল তাঁর!
ভােরে
পূজারি ঘুম থেকে না ওঠায়
নিজেই মঙ্গলারতি করতে যান।
তিনি পরনিন্দা ও পরচর্চা পছন্দ
করতেন না। বলতেন,
‘তােমার
কী হচ্ছে,
তা-ই
দেখ। মঠের কুকুর,
গরুর
প্রতি কী সমবেদনা!
গরিব
জেলে মঠে মাছ নিয়ে এলে,
সে
যা চাইত মহাপুরুষ মহারাজ তা-ই
দিতে বলতেন। গরিবের প্রতি কী
অনুকম্পা!
তাঁর
জন্মদিনে ছবি তুলতে এলে
বলেছিলেন,
‘নিরাকারের
আবার ছবি!
”
১৬
জুন ১৯৬০,
অদ্বৈত
আশ্রম,
কলকাতা
Sri
Ramakrishna
|
স্বামীজী
কলকাতায় এলে সুধীর মহারাজ
কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে তার
গাডি টানেন। তিনি খুব বিদ্যোৎসাহী
ছিলেন এবং তাঁর intellectual
honesty ছিল।
না জানলে বলতেন,
‘জানি
না।'
গোঁজামিলের
বালাই ছিল না। খুব straightforward
ছিলেন।
স্বামীজীর সামনে ‘আত্মা’
সম্বন্ধে আধ ঘণ্টা বক্তৃতা
দেন।
“তিনি
সাধু হতে চাওয়ায় তাঁর বাবা
তাঁকে ঘরে তালাবন্ধ করে রাখেন।
লেখাপড়াই ছিল তাঁর বিশ্রাম।
তিনি স্বামীজীর বহু লেখা
অনুবাদ করেন। তিনি বেশ রসিক
ছিলেন। বলতেন,
“আমরা
সব রামকৃষ্ণের চেলা/বুক
ফুলিয়ে বলা/কেবল
ভাণ্ডারা খাওয়ার বেলা।
“সুধীর
মহারাজ (স্বামী
শুদ্ধানন্দ)
খুব
সহজ-সরল
ছিলেন। একদিন স্বামীজীকে
বললেন,
‘আমি
তপস্যা করব। স্বামীজী সম্মতি
দিলেন। সারারাত
গাছতলায় কাটিয়ে পরে ভীষণ
সর্দিা।
“একজন
এসে জিজ্ঞাসা করল,
‘সন্ন্যাসী
হয়ে গেরুয়া পরলেন কেন?
সুধীর
মহারাজ বললেন,
“সকলকেই
তাে এ-জগৎ
ছেড়ে
একদিন চলে যেতে হবে। গৃহে
থাকলে ওপারের ডাক শুনে ছেড়ে
যেতে কষ্ট হয়। তাই সব ছেড়ে
গেরুয়া পরে এখন থেকে প্রস্তুত
হয়ে বসে আছি যাওয়ার জন্য।”
ঐদিন
খােকা মহারাজ (স্বামী
সুবােধানন্দ)
সম্বন্ধেও
অনেক কথা বললেন,
“খােকা
মহারাজ খুব আমােদপ্রিয় ছিলেন।
সর্বদাই হাসিখুশি থাকতেন ও
বীরের মতাে চলাফেরা করতেন।
অনেকসময় স্টিমারের মান্থলি
টিকিট নিয়ে ঘুরতে
যেতেন। একবার কয়েক জন যুবক
বেলুড় মঠের নিন্দা করায়,
তিনি
তাদের
খুব বকুনি দেন। তারপর বলেছিলেন,
‘বেলুড়
মঠ যদি খুব আরামের জায়গা হয়
তবে এখানে এসে থাকো না।।
“স্বামীজী
খােকা মহারাজকে তবলায় ঠেকা
দেওয়া শিখিয়েছিলেন এই বােল
সহ-‘রামধন
দাদা ছােলা খায়। দিচ্ছি দেব,
দিচ্ছি
দেব।
“কেউ
যদি ঠাকুরের কথা বলার জন্য
পীড়াপীড়ি করত,
খােকা
মহারাজ গম্ভীর হয়ে বলতেন,
“ঠাকুরের
কথা কে শুনতে চায়!
”
No comments