প্রাচীন সাধুদের কথা _ভূতেশানন্দজী
প্রাচীন সাধুদের কথা _ভূতেশানন্দজী
Sri
Ramakrishna
|
১৪ জুন ১৯৬০, অদ্বৈত আশ্রম, কলকাতা।
স্বামী
তুরীয়ানন্দজী মহারাজ (হরি
মহারাজ)
সম্পর্কে
ভূতেশানন্দজী মহারাজ বললেন,
“তিনি
তপস্যার ওপর ভীষণ জোর দিতেন।
দেখলে মনে হতাে যেন blazing
fire—জ্বলন্ত
আগুন!
ঘাড়
সােজা করে বুক টান করে যখন
দৃষ্টিনিক্ষেপ করতেন তখন মনে
হতাে জগৎটা তাঁর কাছে কিছু
নয় উপেক্ষার দৃষ্টি।
Sri
Ramakrishna
|
“হরি
মহারাজ একদিন বলরাম মন্দিরে
বললেন,
‘ব্রাহ্মণের
শরীর কেবলমাত্র তপস্যার জন্য।
এ-শরীরে
অন্য কোনাে প্রয়ােজন নেই।
একদিন ‘উদ্বোধন’-এর
প্রকাশিত কোনাে বইতে ত্বং'-এর
পরিবর্তে ‘তং’ ছাপা হওয়ায়
খুব ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি
দুঃখের সঙ্গে বলতে থাকেন,
‘লােকে
বলবে এখানে কতকগুলাে মূখের
আমদানি হয়েছে।
" ১৫ জুন ১৯৬০, অদ্বৈত আশ্রম, কলকাতা
ভূতেশানন্দজী
এদিন শরৎ মহারাজের (স্বামী
সারদানন্দ)
হৃদয়বত্তার
কথা খুব বললেন,
“তাঁর
মন খুব নরম ছিল। সকলকেই আশ্রয়
দিতেন। সকল ব্যাপারেই
সাহায্যপ্রার্থীকে সাহায্য
ও উৎসাহ দিতেন। মায়ের দ্বারী
হয়ে ছিলেন উদ্বোধনে এবং
সেখানেই তাঁর শরীরত্যাগ হয়।”
Sri
Ramakrishna
|
মহাপুরুষ
মহারাজ (স্বামী
শিবানন্দ) সম্বন্ধে
বললেন,
“একদিন
দীক্ষার পর এক মহিলা বললেন,
‘এর
নাম দীক্ষা! মহাপুরুষজী
বললেন,
'কাল
আবার এসাে। পরদিন ঐ মহিলাকে
একটু স্পর্শ করে দেওয়ায়
তাঁর গভীর অনুভূতি হয়।
“আরেক
দিন মহাপুরুষ মহারাজ মঠের
উঠান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।
তখন একজন এসে তাঁকে প্রণাম
করায় তিনি প্রায় পড়ে
যাচ্ছিলেন। লােকটি অপ্রস্তুত
তিনি বললেন,
‘ও
কী করে জানবে, আমি
কিছুই দেখছি না। তিনি সদা
অন্তর্মুখ অবস্থায় থাকতেন।
“একদিন
মঠে অন্য সম্প্রদায়ের এক
সাধু রাত্রিবাস করেন। মহাপুরুষ
মহারাজ তাঁকে ব্রহ্মজ্ঞানী
বলে চিনতে পারেন এবং তিনিও
মহাপুরুষজীকে ব্রহ্মজ্ঞানী
বলে চিনতে পারেন।
No comments