প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী ভূতেশানন্দজী
প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী ভূতেশানন্দজী
Sri
Ramakrishna
|
১/৮/১৯৯০
তারিখে মঠে মহারাজের কাছ থেকে
বিদায় নিতে গেলে বললেন
,
"I can't say good-bye. Come again. May Thakur be
with you. May Holy Mother be with you. May Swamiji be with you."
১৯৯৩
সালের ১১,
১২,
১৮
ও ১৯ সেপ্টেম্বর শিকাগাে
ধর্মমহাসভার শতবর্ষ উদযাপিত
হলাে কলকাতার নেতাজি ইন্ডাের
স্টেডিয়ামে। বারাে হাজার
শ্রোতা বিভিন্ন দেশ থেকে
এসেছিলেন। ১১ তারিখে ভূতেশানন্দজী
নিজের লিখিত ভাষণ পাঠ করেন।
পরে আমি জিজ্ঞাসা করলাম,
“আপনি
কেন ভাষণ পাঠ করলেন?
আপনাকে
তাে কোনােদিন note
নিয়ে
বক্তৃতা দিতে দেখিনি।” তিনি
উত্তরে বললেন,
“ওপেন
হার্ট সার্জারির পর একটু
শারীরিক দুর্বলতা বােধ করি।
তাছাড়া অত লােকের সামনে একটু
গুছিয়ে প্রয়ােজনীয় বিষয়টি
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বলার
জন্য লিখিত ভাষণ পড়লাম
”
Sri
Ramakrishna
|
মঠে
যে ক-দিন
ছিলাম রােজ সকালে তাঁর সঙ্গে
বেড়াতাম। অন সাধু
ও
থাকতেন। তারপর তিনি সকলকে
চকোলেট দিতেন এবং ফস্টিনটি
করতেন। মঠের প্রাণগােপাল
মহারাজ খুব ভক্তিভরে প্রণাম
করে দু-হাত
পাতলেন। আমি বললাম,
“মহারাজ
দেখুন,
প্রাণগােপাল
মহারাজের কী ভক্তি!”
তিনি
বললেন,
“ও
শকুনি,
ওর
দৃষ্টি কেবল চকোলেটের ওপর।”
মহারাজ আনন্দময় পুরুষ ছিলেন।
নিজে প্রাণ খুলে হাসতে ও অপরকে
হাসাতে পারতেন। ঐ humour-টুকু
তাঁকে বৃদ্ধ হতে দেয়নি। মনে
হতাে তিনি সদাই যুবক।
Sri
Ramakrishna
|
১৯৯১
সালে আমি ল্যাগুনাতে হরি
মহারাজের পত্রের ইংরেজি অনুবাদ
শুরু করি। পরে সেটি Spiritual
Treasures
নামে
বেরিয়েছে। তাঁকে জানালে
তিনি ৭/৮/৯১
তারিখে লেখেন :
“তুমি
হরি মহারাজের চিঠির তর্জমা
করছ জেনে সুখী হলাম। হরি
মহারাজের চিঠি আমার কাছে খুবই
inspiring
বােধ
হয়। বিশেষত যাদের শাস্ত্র
সম্বন্ধে কিছু জ্ঞান আছে,
এই
চিঠির মর্ম তাদের কাছে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্য শাস্ত্রজ্ঞান
ছাড়াও তাঁর চিঠি থেকে তাঁর
ত্যাগময় জীবনের যে চিত্র
পাওয়া যায়,
তা-ও
সকলকে,
বিশেষ
করে আমাদের ত্যাগের পথে চলার
অনুপ্রেরণা দেবে ও দিগদর্শন
করাবে।...
শ্রীশ্রীঠাকুরের
কৃপায় তােমার প্রচেষ্টা
সার্থক হােক,
এই
প্রার্থনা করি।”
১৯৯৬
সালের ১ জানুয়ারি সান
ফ্রানসিস্কোতে ‘বিবেকানন্দ
হল’-এর
উদ্বোধন হয়। আমরা নয় জন সাধু
মিলিত হই। তারপর আমি ৫ জানুয়ারি
রাতে বেলুড় মঠে পৌঁছাই।
মহারাজকে দেখাটাই আসল উদ্দেশ্য
ছিল। লীলাপ্রসঙ্গ-এর
নতুন ইংরেজি অনুবাদ সংক্রান্ত
আলােচনা এবং আরাে অন্যান্য
প্রশ্ন ছিল। প্রতিদিন সকালে
ব্রেকফাস্টের পর ১৫ মিনিট
মহারাজ সাধু-ব্রহ্মচারীদের
দর্শন দিতেন এবং কারাে প্রশ্ন
থাকলে উত্তর দিতেন। আমি যে
ক-দিন
মঠে ছিলাম সাধারণত আমি মহারাজের
পায়ের কাছে বসে প্রশ্ন করতাম।
সেসব প্রশ্ন ও উত্তর বরানন্দ
ও ঋতানন্দ টেপ করে রেখেছে।
ঐসব কথােপকথনের কয়েকটা
উল্লেখযােগ্য প্রশ্নোত্তর
উল্লেখ করছি।
No comments