প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী গম্ভীরানন্দ
প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী গম্ভীরানন্দ
Sri
Ramakrishna
|
কথায়
বলে কীর্ত্যিস্য স জীবতি’—অর্থাৎ
কীর্তিমান ব্যক্তিরাই বেঁচে
থাকেন। আর যশহীন ব্যক্তি জীবত।
স্বামী গম্ভীরানন্দ যুগ যুগ
বেঁচে থাকবেন তাঁর কর্ম ও
অপূর্ব গ্রন্থরাজির মাধ্যমে।
ইংরেজি,
বাংলা
ও সংস্কৃত—এই তিন। ভাষায়
তাঁর রচিত,
সঙ্কলিত
ও অনূদিত গ্রন্থাবলি রামকৃষ্ণ
সঙ্ঘের ও অধ্যাত্মজগতের মস্ত
সম্পদ। এখনাে বহু সাধু ও ভক্তের
মুখে তাঁর অপূর্ব জীবন ও চরিতকথা
আলােচিত হয়। সাধুসমাজে একটা
প্রবাদ আছে—সাধুরা যে-সাধুর
কাছে মাথা নােয়ায় তাঁর ভিতর
অবশ্যই সারবস্তু আছে।
Sri
Ramakrishna
|
Hero
worship বা
বীরপূজা ও চরিত্রপূজা পৃথিবীর
সব দেশের সব জাতির মধ্যে আছে।
আমাদের দেশে রাম,
কৃষ্ণ,
বুদ্ধ,
চৈতন্য,
রামকৃষ্ণ
থেকে বহু সাধুসন্ত,
সমাজকল্যাণকারী
সংস্কারক,
লেখক,
কবি,
দেশনেতারা
পূজা ও শ্রদ্ধা পেয়ে আসছেন।
এটি স্বাভাবিক রীতি। মানুষ
মহান ব্যক্তির মহত্ত্বকে
মাথা নত করে শ্রদ্ধা না দেখিয়ে
থাকতে পারে না। এঁরাই role
modelসমাজের
আদর্শ দিগদর্শক। মহাভারতে
যক্ষের প্রশ্ন ছিল—কঃ পন্থাঃ?
পথ
কী?
যুধিষ্ঠির
উত্তর দিয়েছিলেন,
“বেদ
বিভিন্ন,
স্মৃতি
বিভিন্ন,
এমন
মুনি নেই যাঁর মত ভিন্ন নয়।
ধর্মের তত্ত্ব গুহায় নিহিত,
অতএব
মহাজন বা বিখ্যাত সাধুজন যে
পথে গিয়েছেন তা-ই
পন্থা।” স্বামী গম্ভীরানন্দ
এমনই এক সাধু ব্যক্তি,
যিনি
নিজে সেই পথে বিচরণ করে অপরদের
দেখিয়ে গিয়েছেন। কীভাবে
সাধুজীবন যাপন করতে হয়। এটিই
আচার্যের লক্ষণ।।
Sri
Ramakrishna
|
এই
জগতে কীসের অভাব এখন সবচেয়ে
বেশি অনুভূত হয়?
১৮৯৬।
সালের ৭ জুন স্বামীজী নিবেদিতাকে
লিখেছিলেন,
“জগতের
ধর্মগুলি এখন। প্রাণহীন মিথ্যা
অভিনয়ে পর্যবসিত। জগতের এখন
একান্ত প্রয়ােজন হলাে—
চরিত্র। জগৎ এখন তাঁদের চায়
যাঁদের জীবন প্রেমদীপ্ত ও
স্বার্থশূন্য।” রামকৃষ্ণবিবেকানন্দের
অনুগামী স্বামী গম্ভীরানন্দ
আমাদের সামনে এমনই একটা আদর্শ
চরিত্র রেখে গেলেন। একবার
মিশন অফিসের জনৈক সাধু-কর্মী
আমাকে স্বামী গম্ভীরানন্দ
সম্বন্ধে বলেন,
“এঁর
কোনাে personal
problem নেই।
দিনরাত রামকৃষ্ণরূপী সঙ্ঘের
সেবা করেন। এঁর সঙ্গে কাজ করে
আনন্দ পাই।” মহারাজ তখন
মঠ-মিশনের
জেনারেল সেক্রেটারি।
No comments