প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী ভূতেশানন্দ (১৯০১-১৯৯৮)
প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী ভূতেশানন্দ
(১৯০১-১৯৯৮)
Sri
Ramakrishna
|
মানুষ
মননশীল। মনন বা চিন্তা একমাত্র
মানুষই করতে পারে। মানবমনে
অসংখ্য চিন্তা ক্রমাগত ঢেউ
বা বৃত্তিরূপে উঠছে,
তারপর
রেখাপাত করে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এই বৃত্তিগুলি চিত্তে স্মৃতিরূপে
থেকে যায়। মানবজীবনে স্মৃতির
মূল্য তুলনাহীন। মানুষের
হাত-পা
ভাঙলে জোড়া লাগে,
চোখ-কান
নষ্ট হলে মানুষ মরে না,
কিন্তু
স্মৃতিলােপ পেলে জীবন অচল
হয়ে যায়। বর্তমানের বা
ভবিষ্যতের স্মৃতি হয় না—অতীতেরই
স্মৃতি হয়। আবার এই স্মৃতির
তর-তম
আছে,
অর্থাৎ
কোনাে স্মৃতি হালকা এবং কোনাে
স্মৃতি গভীর। আমাদের জীবনে
যারা অপ্রয়ােজনীয় তাদের
স্মৃতি শীঘ্র ম্লান হয়ে যায়,
কিন্তু
যারা আমাদের প্রাণের প্রিয়
তারা আমাদের স্মৃতিপটে সদা
উজ্জ্বলভাবে বিদ্যমান থাকে।
কুড়ি বছর আগে স্বামী ভূতেশানন্দ
মহাসমাধি লাভ করেছেন;
কিন্তু
তাঁর স্মৃতি এখনাে বহু মানবমনে
জীবন্ত হয়ে রয়েছে।
Sri
Ramakrishna
|
পূজ্যপাদ
স্বামী ভূতেশানন্দজীর সঙ্গে
আমার পরিচয়ের পরিধি ১৯৬০
থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত। এই
দীর্ঘ ৩৮ বছর তাঁর সঙ্গে
ঘনিষ্ঠভাবে মিশেছি,
যদিও
সবসময় তাঁর কাছে থাকা আমার
পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাঁর
পুণ্যজীবন ও উপদেশ আমার
ব্যক্তিগত জীবনে গভীর অনুপ্রেরণা
দিয়েছে। সেসব কথা আমি কিছু
কিছু ডায়েরিতে লিখে রেখেছি।
তাঁর কয়েকটি পত্রও আমার কাছে
আছে। তাঁর সঙ্গে আমার কথােপকথন
কিছু টেপ রেকর্ডার-এ
ধরা রয়েছে। যাই হােক,
এই
দীর্ঘকালের সব ঘটনা আমার মনে
নেই,
তবে
যেগুলি প্রাসঙ্গিক সেগুলি
লিখবার চেষ্টা করছি।
১৯৬০
সালের ১৪ জুন মহারাজকে প্রথম
দেখি অদ্বৈত আশ্রমে। মহারাজ
রাজকোট থেকে এসেছিলেন। আমি
তখন ব্রহ্মচারী। অদ্বৈত আশ্রম
তখন ৪ ওয়েলিংটন লেনে। প্রতিদিন
রাতে খাওয়ার পর ক্লাস হতাে।
পূজনীয় গম্ভীরানন্দজী তখন
অদ্বৈত আশ্রমের অধ্যক্ষ।
ভূতেশানন্দজী প্রতিদিন ক্লাসের
পর ঠাকুরের সন্তানদের স্মৃতিচারণ
করতেন। কী মর্মস্পর্শী ভাষায়
তাঁদের ত্যাগ,বৈরাগ্য
ও খুঁটিনাটি ঘটনা বলতেন!
আমি
সংক্ষেপে সেগুলি ডায়েরিতে
লিখে রাখতাম। প্রায় ৪০ বছর
আগেকার ঐ নােট থেকে কয়েকটি
উল্লেখ করছি।
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
No comments