প্রাচীন সাধুদের কথা _মিস জোসেফিন ম্যাকলাউডের স্মৃতি।II সিস্টার কৃস্টিনের স্মৃতি
প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী সর্বজ্ঞানন্দ (১৯০২-১৯৮৮)
Sri
Ramakrishna
|
মিস
জোসেফিন ম্যাকলাউডের স্মৃতি।
১৯২৭
সালে বেলুড় মঠে আমি প্রথম
মিস ম্যাকলাউডকে দেখি সেদিন
ছিল স্বামীজীর জন্মদিন এবং
আমি স্বামীজীর ঘরের দেখাশােনার
কাজ করছিলাম। মিস ম্যাকলাউড
ও বশী সেনের স্ত্রী মাছ,
মাংস
ও নানাবিধ উপাদেয় খাবার
এনেছিলেন এবং তা আমাকে স্বামীজীকে
নিবেদন করতে বললেন। স্বামীজীর
প্রতি তাঁদের ভক্তি ছিল খাঁটি
ও অপূর্ব।তারপর ১৯৩৪ সালের
পরে কোনাে এক সময়ে মিস ম্যাকলাউড
মাদ্রাজে আসেন। আমরা তখন নতুন
করে একটা কলােনি তৈরি করছিলাম,
যেটি
আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। স্বামী
রুদ্রানন্দ ছিলেন ইনচার্জ।
তিনি যথেষ্ট টাকা সংগ্রহ
করেছিলেন যাতে একশােটি (১৫'১৫')
ঘর
তৈরি হয়। এই কলােনির নাম
হয়েছিল রামকৃষ্ণপুরম্'।
একদিন মিস ম্যাকলাউড ঐ কলােনি
দেখতে এসে একটা ঘরে ঢােকেন।
তিনি লম্বা ছিলেন ঘরগুলির
ছাদ ছিল নিচু,
তাই
একজন ব্রহ্মচারী তাঁকে সাবধানে
ভিতরে ঘুরিয়ে দেখাল। ঘরে
ঢুকে তিনি বললেন,
“স্বামীজী
ঠিক এটিই চেয়েছিলেন—কী করে
গরিবদের উন্নত করা যায়।”
Sri
Ramakrishna
|
মিস
ম্যাকলাউড সাধারণত ছয় মাস
আমেরিকায় ও ছয় মাস ভারতে
থাকতেন। অন্য একসময় কলকাতায়
যাওয়ার পথে তিনি মাদ্রাজে
এসেছিলেন। মাদ্রাজ বন্দর
থেকে একটা ট্যাক্সি নিয়ে
বেলা ১.৩০টা
নাগাদ মঠে এলেন। ঠাকুরঘর তখন
বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পূজারি
তখন ঠাকুরকে বিছানায় শয়ন
দিয়েছে। মিস ম্যাকলাউড
অধ্যক্ষ স্বামী শৰ্বানন্দকে
বললেন,
“আমি
স্বামীজীর ঘরে যাব।” তাঁর ঘর
ছিল ঠিক ঠাকুরঘরের পাশে।
স্বামী শৰ্বানন্দ বিনীতভাবে
বললেন,
“স্বামীজী
এখন বিশ্রাম করছেন। আপনাকে
বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা
করতে হবে।” মিস ম্যাকলাউড
বললেন,
“বাজে
কথা স্বামীজী বিশ্রাম করছেন?
তিনি
যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনি
বন্দরে গিয়ে আমাকে অভ্যর্থনা
করতেন। আর আপনি বলছেন যে তিনি
বিশ্রাম করছেন!
এখুনি
দরজা খুলে দিন।” অসহায় স্বামী
শৰ্বানন্দ একজন সাধুকে স্বামীজীর
ঘরের দরজা খুলে দিতে বললেন।
আমি স্বামীজীর ছবি তাঁর বালিশের
ওপর রাখলাম। মিস ম্যাকলাউড
স্বামীজীর বিছানার ওপর চোখ
বুজে কিছু সময় বসলেন,
তারপর
বন্দরে জাহাজে ফিরে গেলেন।
Sri
Ramakrishna
|
MONEY
SAYS: Earn me, forget
everything.
TIME SAYS: Follow me, forget
everything.
FUTURE SAYS: Struggle for me, forget everything.
GOD
SAYS: Just remember me, I'll give you everything.
MONEY SAYS: Earn me, forget everything. |
সিস্টার
কৃস্টিনের স্মৃতি।
আমি
সিস্টার কৃস্টিনকে মাদ্রাজে
দর্শন করি। কোন্ বছর তা আমার
মনে নেই। আমি জানতাম যে,
তিনি
থাউজ্যান্ড আইল্যান্ড পার্কে
স্বামীজীর কাছে শিক্ষালাভ
করেছিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা
করেছিলাম,
“সিস্টার,
আপনারা
পাশ্চাত্যবাসী হয়ে কী করে
স্বামীজীর দেববাণী (Inspired
Talks) রেকর্ড
করলেন—যা হলাে বেদান্তদর্শনের
নির্যাস?
শঙ্করের
বেদান্ত বুঝতে গেলে। একজনের
অন্যান্য দার্শনিক মত জানা
দরকার—যা শঙ্করাচার্য খণ্ডন
করেছেন। যদিও আমরা ভারতীয়
এবং আমাদের ধর্ম ও দর্শন বিষয়ে
কিছু জ্ঞান আছে,
তা
সত্ত্বেও বেদান্তদর্শন আমাদের
কাছে কঠিন মনে হয়। স্বামীজী
যখন থাউজ্যান্ড আইল্যান্ডে
বেদান্তের ওপর আলােচনা করেন,
আপনারা
কীভাবে তা বুঝলেন?”
সিস্টার
কৃস্টিন বলেছিলেন,
“আপনি
অজ্ঞানীর মতাে কথা বলছেন।
আপনি জানেন না আমাদের কে বেদান্ত
শিখিয়েছিলেন?
আমাদের
বেদান্ত শিখিয়েছিলেন স্বামীজী।
তিনি আমাদের মনকে খুব উঁচু
স্তরে তুলে দিতেন যাতে আমরা
তাঁর কথা বুঝতে পারি। এজন্যই
আমরা স্বামীজীর সব উপদেশ ও
বক্তৃতা ধরে রাখতে সক্ষম
হয়েছি।”
No comments