প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী ভূতেশানন্দজী - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী ভূতেশানন্দজী


প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী ভূতেশানন্দজী

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

আমি-ঠাকুর কি আমাদের কথা ভাবেন?
মহারাজ-তিনি যদি আমাদের কথা না ভাবেন, তবে আমরা কোথায় যাব
তিনি যদি আমাদের মঙ্গল না করেন
we will be nowhere.
তাঁর আত্মপ্রত্যয় ও শরণাগতি আমাকে মুগ্ধ করেছিল।
 মহারাজ-বিছানায় শুয়ে ঘুম হয় না।
 তখন ভাবি আর বেঁচে থেকে লাভ কী?
আমি—এটি আপনার হাতে নয়।
মহারাজ-ডিপেন্ডেন্ট হয়ে গিয়েছি।
 সাধুজীবনে এটি ভাল নয়।
 স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?
/দাসত্ব-শৃঙ্খল বল, কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়?”
আমি-আপনি আবার আমেরিকায় চলুন।
 আমি আপনাকে ফার্স্ট ক্লাসে নিয়ে যাব এবং নয় রকম ফল দিয়ে ব্রেকফাস্ট খাওয়াব।

মহারাজ--Only 9 kinds?
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

আমি—All right, we shall serve 10 kinds of fruits.
মহারাজ শুনে হাসলেন। 
তারপর বললেন, “তখন (১৯৮৮ সালে) না গেলে আর যাওয়া হতাে না।
 আমেরিকায় খুব ঘুরেছি। 
তবে সেন্ট লুইসে। 
গিয়ে মনে হয়েছিল যেন বাড়িতে এসেছি। 
এ বােধ হয় তােমারই জন্য।” 
ঐ স্নেহপূর্ণ কথায় আমার মনটা ভরে গেল।
সেবক তাগিদ দিল যে, দর্শনের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি বললাম, “মহারাজ, রাজা মহারাজ একবার ভক্তদের বলেছিলেন
দেখ, আমার ডায়াবেটিস-মিষ্টি খাওয়া বারণ, এমনকী মিষ্টি কথা বলাও বারণ। ”

মহারাজ–দেখ হে, আমার ডায়াবেটিস নেই। 
আমার কথা মিষ্টি কি না জানি না।
 কথা বেরিয়ে যায় লােকে বলে মিষ্টি।

তারপর চেয়ার ছেড়ে উঠে আবার বললেন,
 “দেখ, ডাক্তাররা দর্শনাদির ব্যাপারে খুব restrict করছে। তুমি রােজ সকালে ১০-১০.৩০টায় আসবে। (সেবকদের শুনিয়ে) এরা জানে আমি তােমায় ভালবাসি—আটকাবে না।”
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna



সত্যি, তাঁর দরদ ও ভালবাসা ভুলবার নয়।
সকালে স্নান সেরে আবার গেলাম। 
মহারাজ তাঁর বাসস্থানের বারান্দায় একটু বেড়ালেন। 
কিছু ভক্ত বাড়ির বাইরে থেকে জানালা দিয়ে মহারাজকে দেখতে লাগল।
 তিনি বললেন
ওরা কী দেখে বল তাে? আমি দেখতে নই গায়ের রং ময়লা, বুড়াে মানুষ।”
 আমি বললাম, “আপনি গুরু।”
 মহারাজ বললেন
ওরা যদি মনে করে এই ভূতেশানন্দের শরীরটা গুরু, তাহলে কেঁদে কেঁদে মরবে।”


মহারাজ বললেন
একজন ভক্ত এসে বলল, “মনে বড় অশান্তি কী করলে শান্তি হবে?' আমি বললাম, একটা সােজা উপায় আছে।
 ভক্ত বলল, ‘কী?' আমি বললাম, বাসনা ছেড়ে দাও।'
ভক্ত বলল, “আমরা সংসারী কী করে সব বাসনা ছাড়ব? অসম্ভব।
 আমি বললাম, তাহলে অশান্তি নিয়েই থাকো। 
একটাই পথ-বাসনা ত্যাগ। 
তা যদি না করতে পার—অশান্তি যাবে না।
 অনিত্যমসুখং লােকমিমং প্রাপ্য ভজস্ব মাম। ” (গীতা, /৩৩)
তারপর নিত্যমুক্তানন্দ দীক্ষাদির ব্যাপারে মহারাজের সঙ্গে পরামর্শ: এল।
 বহু ভক্ত দীক্ষার waiting list-এ রয়েছে, দীক্ষা বন্ধ। 
আমি বলল “আপনি শুধু মন্ত্রটা বলে দেবেন, বাকিটা নিত্যমুক্তানন্দ ম্যানেজ করবে।”
মহারাজ বললেন, “My satisfaction is necessary. দীক্ষার আগে এ পরে আমি ভক্তদের কিছু বলি-দীক্ষার প্রয়ােজনীয়তা, মন্ত্রের অর্থ, ধ্যানের প্রণালী ও কিছু উপদেশ।
 তা না হলে আমার তুষ্টি হয় না।” 
ভক্তদের প্রতি তাঁর যে কী deep feelings ছিল, তা তাঁর প্রতি কথায় ও আচরণে প্রকাশ পেত।
 শরীরের জ্বালাযন্ত্রণা ভুলে তিনি ভক্তদের মঙ্গলচিন্তা করতেন।
আমেরিকা থেকে মহারাজের জন্য একটা special cereal, prunes, Neutrogena soap for dry skin 978 God Lived with Them (আমার নতুন বই) নিয়ে গিয়েছিলাম। বইখানা হাতে দিলাম।
 তিনি উলটেপালটে দেখলেন।
বিকাল ৩.৩০টায় আবার চায়ের সময় গেলাম। 
আমি বললাম, “মহারাজ, একটি জিনিস এনেছি, কিন্তু আপনাকে দিতে ভয় করছে।”
 “কী এনেছ?” “Peacon Sandees–Peacon nut দিয়ে তৈরি একরকমের আমেরিকান বিস্কুট।” “কেন ভয় করছ?” “এটি খুব rich, যদিও reduced fat. খেলে।
 যদি আপনার অসুখ হয়, তাহলে আপনার ডাক্তাররা আমাকে দোষ দেবে।” “তুমি নিয়ে এসাে।
 একটা আমি চুপি চুপি খাব।
 কেউ দেখতে পাবে না।” আমি ছুটতে ছুটতে Monks' Quarters-এ গিয়ে প্যাকেট নিয়ে এলাম।

No comments

Powered by Blogger.