প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী সারদেশানন্দ (১৮৯৪-১৯৮৮) pracheen sadhu katha in bengali
প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী সারদেশানন্দ (১৮৯৪-১৯৮৮)
Sri
Ramakrishna
|
সনাতন
ধর্মের তিনটি খুঁটি ও ১। সাধু
মহাত্মা ২। উৎসব পর্ব ৩।
তীর্থস্থান। প্রকৃতপক্ষে
এগুলিই হিন্দুধর্মকে বাঁচিয়ে
আর জাঁকিয়ে রেখেছে।
ধর্মজীবনের
মূল ঃ ১। দেহব্যতিরিক্ত
চৈতন্যস্বরূপ আত্মায় বিশ্বাস।
২।
ভাল-মন্দ
কর্মফলে সুখ-দুঃখভােগ
অবশ্যম্ভাবী।
৩।
কর্মফলদাতা ভগবানে বিশ্বাস।
আমাদের
ভাববার বিষয় ঃ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ
কী ধর্ম স্থাপন করেছেন?
তাঁর
ধর্মমত ও তাঁর প্রদর্শিত
সাধনপ্রণালী স্বামীজী বেলুড়
মঠের নিয়মাবলীতে লিখে গিয়েছেন।
তা আমাদের মননের ও পালনের
বিষয়।
আমি
কয়েক বার মহারাজের সেবার
জন্য টাকা পাঠিয়েছি। তিনি
তা আশ্রমের সাধুসেবা fund-এ
পাঠিয়ে দিতেন এবং প্রাপ্তিস্বীকার
করতেন। তাঁর কাছে কোনাে
টাকাপয়সা থাকত না। আমার কাছে
তাঁর দুটি চিঠি (১৭/১/১৯৮৭
ও ২০/১০/১৯৮৭)
রয়েছে।
তিনি শয্যাগত থাকলেও মঠমিশনের
নতুন বই ও পত্রিকা সেবকদের
দিয়ে পড়িয়ে শুনতেন। তাঁর
রাগানুগা ভক্তি ও জ্ঞানদৃষ্টি
এবং সকলের প্রতি ভালবাসা ও
অনুকম্পা সবাইকে আকর্ষণ করত।
Sri
Ramakrishna
|
সাধনভজন
ও শাস্ত্রপাঠের ফলে মহারাজের
প্রজ্ঞাদৃষ্টি খুলে গিয়েছিল।
তাঁর স্বাধীন চিন্তা ও নতুন
দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের নতুন
আলাে দেখাত। তিন একদিন সেবক
অনুপকে ডেকে বলেন,
“লেখ—সমুদ্রমন্থনে
কালকূট উদ্ভুত হইয়া জগৎ ধ্বংস
করিতে উদ্যত হইলে,
ভগবান
শিব স্বয়ং সেই হলাহল পানকরতঃ
দেবগণকে অমৃত পান করাইয়া
অমর করেন। সেই হলাহল। সদাশিবের
কণ্ঠসংলগ্ন হওয়াতে তিনি
জগতে ‘নীলকণ্ঠ'
নামে
পরিচিত হইলেন। বর্তমান জগতে
জড়বিজ্ঞানের বিশেষ চর্চাতে
উদ্ভূত ঐহিক সর্বস্বতারূপ
হলাহল মানবসমাজকে গ্রাস করিতে
উদ্যত হওয়াতে ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণদেব
সেই নাস্তিকতারূপ বিষ জীর্ণকরতঃ
ঈশ্বরে বিশ্বাস-ভক্তিরূপ
কথামৃত দান করিয়া জগৎকে রক্ষা
করেন। সেই হলাহল তাঁর কণ্ঠে
ক্যানসাররূপে প্রকাশ পাইয়াছে।”
প্রচারবিমুখ সন্ন্যাসীরা
নিজেদের অনুভূতি অপরকে বলতে
চান না। শাস্ত্রে স্বসংবেদ্য
ও পরসংবেদ্য নামে দুটি শব্দ
আছে। স্বসংবেদ্য মানে যাঁর
অনুভূতি হয়েছে তিনি জানেন।
পরসংবেদ্য মানে শাস্ত্রে
লিখিত মুক্তপুরুষের লক্ষণ
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
No comments