প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮)
প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮)
Sri
Ramakrishna
|
১০/১০/১৯৮৪,
কাশী
সেবাশ্রম।
সর্দিকাশিতে
শরীর দুর্বল করে দিয়েছে।
মনে হচ্ছে দিন ফুরিয়ে এসেছে।
এখন রাম রাম করে বাকি কয়েকটা
দিন কাটিয়ে দিতে পারলেই হয়।
তাই নিত্য প্রার্থনা করি-
‘অনায়াসেন
মরণং বিনা দৈন্যেন জীবন।
দেহি
মে কৃপয়া দেব ত্বয়ি ভক্তিরচঞ্চলা।
শুনলাম,
সুনীল
মহারাজের (স্বানন্দ)
নাকি
আর কাজকর্ম ভাল লাগছে না। ও
শীঘ্রই তিনি ছেড়েছুড়ে চলে
আসবেন। তিনি কেমন আছেন জানিও।
গােটা
জীবনটাই একটা বিরাট স্বপ্ন
বই তাে আর কিছু নয়?
স্বপ্নটা
বা নিদ্রাটা ভেঙে গেলে তখন
আর কিছুই থাকে না। যা আছে তা-ই।
‘অনাদি
নিদ্রয়া সুপ্তো যদা জীববা
প্রবুধ্যতে।
অনিদ্রমস্বপ্নং
নিষ্পন্নং ব্রহ্ম তত্তদা।
অজ্ঞাননিদ্রায়
সুপ্ত জীব কত স্বপ্নই না দেখছে।
কিন্তু জ্ঞান হলে—নিদ্রা
ভাঙলে জীব নিজের স্বরূপটাকেই
ফিরে পায়। তখন আর স্বপ্নদৃশ্য
নেই। কোথায় বিলীন হয়ে যায়।
একটা সুন্দর শ্লোক তােমায়
উপহার দিচ্ছি—
‘অহঙ্কারাে
ধিয়ং ক্ৰতে মা সুপ্তোহয়ং
প্রবােধয়।
উখিতে
পরমানন্দে নাহং ন ত্বং নেদং
জগৎ।
Sri
Ramakrishna
|
পরমপতি
পরমানন্দস্বরূপ পরমাত্মা
অজ্ঞান-নিদ্রায়
নিদ্রিত। কুলটা স্ত্রী বুদ্ধি
উপপতি অহঙ্কার-সহ
বিলাসে নিমগ্না হয়ে বলছে,
“আহা
আমরা এত আনন্দ করছি আর এ ঘুমিয়ে
আছে?
ওকে
জাগিয়ে এই আনন্দের অংশভাগী
করব?”
অহঙ্কার
বলছে,
“খবরদার,
ওকে
জাগালে তুমি,
আমি
বা জগৎ এসব কিছুই থাকবে না।
আমরা সব হাওয়া হয়ে যাব।
যতক্ষণ ও ঘুমিয়ে থাকে ততক্ষণই
আমাদের রাজত্ব।” সুপ্তোহয়ং
(এ
ঘুমিয়ে আছে,
তাই
থাক)
মা
প্রবােধয় (একে
জাগিও না)
২২/২/১৯৮৮,
কনখল
সেবাশ্রম
‘সৎসঙ্গ
রত্নাবলী’ উদ্বোধন পত্রিকায়
বের করতে চাও। ওসব তােমাকে
দিয়েছি। তােমার যা প্রাণ
চায় তা-ই
করাে। তবে উদ্বোধন ওগুলাে
খুব একটা পছন্দ করবে বলে মনে
হয় না। আমার নাম দেওয়ার
কোনাে প্রয়ােজন নেই।
পূর্ণাত্মানন্দের কোনাে চিঠি
আমি পাইনি। আমার আর এখন ওসব
লেখা ও নাম প্রকাশ করা মােটেই
ভাল লাগে না। এখন ‘রাম রাম করে
বাকি দিনগুলি ভালভাবে যাতে
কেটে যায়—এই আশীর্বাদ করাে।
এ জগৎ-স্বপ্ন
আর ভাল লাগে না। যত শীঘ্র এ
স্বপ্ন ভেঙে যাক—এই মাত্র
চাই। স্বামীজীর
Sri
Ramakrishna
|
aa
No comments