প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী সত্যস্বরূপানন্দ(বিশেষ মহারাজ)
প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী সত্যস্বরূপানন্দ(বিশেষ মহারাজ)
Sri
Ramakrishna
|
“তারপর
মহারাজ ঐ সাব জজের সমস্ত কাহিনি
শুনে বলেন,
“আমার
মনে হয় আপনাদের মন্ত্রে ভুল
আছে। ভদ্রলােক মহারাজের পায়ে
পড়ে বলেন,
‘একথা
তাে কেউ বলেনি। আপনি দয়া করে
মন্ত্র সংশােধন করে আমাদের
বাঁচান। মহারাজ বললেন,
“আমি
পারব না। আপনারা শ্রীশ্রীমায়ের
কাছে যান। তিনিই সব ঠিক করে
দেবেন। তাঁরা শ্রীশ্রীমায়ের
জয়রামবাটীর ঠিকানা ও direction
নিয়ে
সেখানে উপস্থিত হলেন। মা সব
শুনে বললেন,
“দেখ,
মন্ত্রে
ভুল থাকলে ইষ্টের বদলে অনিষ্ট
হতে পারে। ঐজন্য তােমরা
Sri
Ramakrishna
|
মনে
শান্তি পাচ্ছ না;
আচ্ছা,
আমি
ঠিক করে দিচ্ছি। মা যেই তাঁদের
মন্ত্র সংশােধন করে দিলেন,
তাঁদের
মন আনন্দে ভরে গেল। তাঁদের
মুখের চেহারা পালটে গেল। তারপর
তাঁরা আবার মহারাজের সঙ্গে
দেখা করতে এসেছিলেন এবং কয়েক
দিন ভুবনেশ্বরে থেকে দেশে
ফিরে গেলেন।
“মায়ের
এই ঘটনাটা কোনাে বইতে নেই।
অশােক মহারাজ আমাকে বলেছিলেন।
মা তখন উদ্বোধনে। শরৎ মহারাজ
একদিন রাসবিহারী মহারাজকে
বলেন,
“দেখ,
মা
জয়রামবাটী যাবেন। তুমি ও
অশােক মায়ের জিনিসপত্র
গুছিয়ে প্যাক করাে।'
শরৎ
মহারাজ মায়ের জন্য একটা
সুন্দর দামি মশারি কেনেন—যা
মা জয়রামবাটীতে ব্যবহার
করবেন। মায়ের ঐ দুই সেবক তাঁর
সব জিনিসপত্র গােছালেন এবং
মশারিখানা একটা ট্রাঙ্কে
রাখলেন।
Sri
Ramakrishna
|
“মা
ও তাঁর সঙ্গীরা সন্ধ্যাকালে
হাওড়ায় গিয়ে ট্রেন ধরলেন
এবং শেষরাতে বিষ্ণুপুর স্টেশনে
পৌঁছান। তারপর গরুর গাড়িতে
করে সন্ধ্যার আগে জয়রামবাটী
যান। মায়ের জিনিসপত্র ও
ট্রাঙ্ক তাঁর ঘরে পৌঁছে দিয়ে
তাঁরা বৈঠকখানার ঘরে যান। মা
আস্তে আস্তে তাঁর জিনিসপত্র
গােছাতে লাগলেন এবং ট্রাঙ্ক
খুলে কাপড়চোপড় বের করতে
লাগলেন। ইতােমধ্যে কালীমামা
খবর পেয়ে মাকে দেখতে এসেছেন।
খােলা ট্রাঙ্কে নতুন ঝকঝকে
মশারিখানা দেখে কালীমামা
বলেন,
“দিদি,
এ
মশারিখানা আমাকে দিতেই হবে।'
এই
বলে তিনি মশারিখানা বগলদাবা
করে নিজের ঘরের দিকে চলে গেলেন।
মা নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে
দেখলেন।
No comments