শ্রীশ্রীমায়ের কৃপালাভ_ সুরমাসুন্দরী ফরিদপুরের মাদারীপুর
শ্রীশ্রীমায়ের কৃপালাভ_ সুরমাসুন্দরী
ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ |
সুরমাসুন্দরী বৃহত্তর ফরিদপুরের মাদারীপুর জেলার বিঝারি গ্রামে বসবাস করতেন। ১৯১৩ সনে তাঁর স্বামী শ্রীশচন্দ্র ঘটক-এর সাথে শ্রীশ্রীমাকে প্রথম দর্শন করেন এবং ঐদিনই তাঁর কৃপালাভে ধন্য হন।
১৯১৩ সনে মাঘী অষ্টমীতে আমি এবং আমার স্বামীর বিধবা ভগ্নী হরবিহারীকে নিয়ে শ্রীশ্রীমায়ের কৃপালাভের আশায় তাঁর শ্রীচরণসমীপে যাই।
ঐদিন মা আমাদের উভয়কেই দীক্ষা দেন।
আমি মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “মা, আমার শিবপূজা করতে ইচ্ছা হয়।
তা করব কি ?”
তদুত্তরে শ্রীশ্রীমা বলেছিলেন, “এখন তুমি ছেলেমানুষ, পারবে না।
পরে সময় হলে শিখে নিয়ে শিবপূজা করাে।
এখন শ্বশুর-শাশুড়ীর সেবা কর।
শ্রীশ্রীমা আমার স্বামীর ভগ্নীর প্রশংসা করে বলেছিলেন, “ওর মন খুব ভাল।”
আমরা শ্রীশ্রীমায়ের জন্য আম নিয়ে গিয়েছিলাম।
ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ |
আমরা শ্রীশ্রীমায়ের জন্য আম নিয়ে গিয়েছিলাম।
ঐ সময় আমের মূল্য বেশি ছিল।
মা ঐ আম দেখে বলেছিলেন,
“এত পয়সা দিয়ে আম কেন ?
আর এই আম এখন খেতেও ভাল নয়—টক।”
এরপর ১৯১৫ সনের ২৪ ডিসেম্বর আমার স্বামীর সাথে সপরিবারে মাকে দর্শন করতে উদ্বোধনে গিয়েছি।
আমার হাতে কিছু মিষ্টি ছিল।
শ্ৰীযুক্তা গােলাপ-মা তা অন্যদিন ঠাকুরকে দিবেন ভেবে উঠিয়ে রাখছিলেন।
মা নিষেধ করে বললেন, “না গাে, না, বৌমা যে মিষ্টি নিয়ে এসেছে তা এবেলাই ঠাকুরকে দাও,
” পরদিন প্রত্যুষে আমি শ্রীশ্রীমায়ের নিকট গিয়েছিলাম এবং সন্ধ্যার সময় বাসায় ফিরে এলাম।
“আজ মা আমাকে কত কৃপা করেছেন ! জীবনে চিরকাল আনন্দ দেবে।
বেলা নটা-দশটার সময় মা তিন পয়সার মুড়ি ও কড়াইভাজা আনিয়ে আঁচলে নিয়ে মাটিতে বসে দু-চারটি করে নিজে মুখে দিচ্ছিলেন এবং এক মুঠো, এক মুঠো করে আমাকে দিচ্ছিলেন—বৌমা, খাও।
জীবনে অনেক ভাল জিনিস খেয়েছি, কিন্তু আজকের ঐ মুড়ি খাওয়ার আনন্দের তুলনা মেলে না।
দুপুরে আমাকে পায়ে হাত বুলিয়ে দিতে বললেন এবং তার বিছানাপত্র ঝেড়ে রােদে দিতে বললেন।
এসব ছােটখাট সেবা গ্রহণ করে আমাকে কৃতার্থ করেছেন।
আজ আমার সঙ্গে এ কথাবার্তাও হয়েছে
—আমি বলেছিলাম, মা,
- ঠাকুরকে অন্নভােগ দেব ?”
- মা ও হ্যা, ঠাকুরকে অন্নভােগ দেবে। তিনি সুক্ত খেতে ভালবাসেন।
- আমি ঃ- ঠাকুরকে মাছভােগ দেব কি ?
- মা ঃ- হ্যা, তাঁকে মাছ দেবে। ঠাকুরের মন্ত্র উচ্চারণ করে তাকে নিবেদন করবে।
- মা জিজ্ঞেস করলেন, “ছেলে মাছ খায় কি?”
- আমি ঃ- হঁ্যা, খান।
- মা ঃ- খাবে বই কি, খুব খাবে।
ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ
“মা, এ যুদ্ধে দেশব্যাপী হাহাকার, লােকের কত কষ্ট, অন্নবস্ত্র দুর্মূল্য।”
- মা ঃ- এতেও তাে লােকের চৈতন্য হয় না।
- আমি ঃ- মা, এ যুদ্ধে কি আমাদের ভাল হবে ?
- মা ঃ- ঠাকুর যখনই আসেন, তখনই এরূপ হয়ে থাকে। আরও কত কিহবে।
ভগবানের উপস্থিতির অনুভূতিতে অভ্যাস করার ফলে ভগবানের উপলব্দি হয় ..Thanks For Sharing The Amazing content. I Will also share it with my friends. Great Content thanks a lot. Please visit DoFollow
ReplyDelete