শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাপ্রাপ্ত _ সুরমা রায় বৃহত্তর পাবনার সিরাজগঞ্জ - Spirituality Religion

Header Ads

শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাপ্রাপ্ত _ সুরমা রায় বৃহত্তর পাবনার সিরাজগঞ্জ

শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাপ্রাপ্ত _ সুরমা রায়

শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাপ্রাপ্ত _ সুরমা রায় বৃহত্তর পাবনার সিরাজগঞ্জ
শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাপ্রাপ্ত _ সুরমা রায়
[সুরমা রায় বৃহত্তর পাবনার সিরাজগঞ্জ জেলার বাগবাটী গ্রামের বাসিন্দা। পরবর্তিকালে সিরাজগঞ্জ শহরে বাস করতেন। সুরমা দেবী তার স্বামী কালীপদ রায় তাঁদের দুই পুত্র সুধীরচন্দ্র রায় শৈলেন্দ্র রায় শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাপ্রাপ্ত ]

আমরা কামারপুকুর হতে হেঁটে জয়রামবাটী ফিরছিলাম, রাস্তায় জলঝড় আরম্ভ হলাে সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হয়ে গেল।

  • মা নিজের ঘরের বারান্দায় কেবল এদিক ওদিক করছেন আর বলছেন,
  • ছােট বৌ (শিবরামের স্ত্রী) পাগলী,
  • কি জানি এদের খাওয়া হলাে কিনা,

এখনাে কেন ফিরছে না ?
আমরা বাড়ির ভিতর প্রবেশ করতেই মা ব্যস্ত হয়ে, এস মা, এস মাবলে হাত ধরে ঘরে নিয়ে গেলেন
আমার শ্বশুরবাড়িতে ব্যবহার ভাল ছিল না।
মা সংসারের প্রত্যেক খুঁটিনাটি ব্যাপার-কে কেমন লােক, কে কিরূপ ভালবাসে ইত্যাদি জিজ্ঞেস করতে লাগলেন।
আমি সকল কথাই বললাম।
যেদিন চলে আসব, নিজের অসুস্থ শরীর নিয়ে মা সদর দরজায় এসে দাঁড়ালেন এবং স্বামীকে সম্বােধন করে বললেন, “বৌমাকে তােমার কাছে রাখবে।
তিনি বললেন, “কী করে রাখব মা, আমার যে অল্প আয়, বাসা করে থাকলে বাপ-মাকে কিছু দেওয়া হয় না।
মা দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন,
তা হােক, তাদের আরাে তাে ছেলে আছে, এতে যে পাপ হবে সে পাপ আমি নিলুম।(শ্রীশ্রীসারদাদেবী, পৃঃ ১০০)
শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাপ্রাপ্ত _ সুরমা রায় বৃহত্তর পাবনার সিরাজগঞ্জ
শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাপ্রাপ্ত _ সুরমা রায়

প্রথম যেবার শ্রীশ্রীমার কাছে যাই তখন আমার মেয়ে পেটে।
মা বলেছিলেন, তুমি আস্ত জিনিস, লাউ কি কুমড়াে, কেটো না।
সন্ধ্যার পর কাপড় বাইরে শুকাচ্ছিল।
পােয়াতির কাপড় সন্ধ্যার পর বাইরে রাখতে নেই, ইত্যাদি কথা বলে মা নলিনীকে কাপড় উঠিয়ে  রাখার জন্য বলেন

নলিনী বলল,
পিসীমা, তুমি আমাদের বকলে, বৌদিদিকে তাে বকলে ?”
মা বললেন,
ওদের কাপড় বাইরে থাকলে কিছু হবে না, ওরা যার নাম নিয়ে বেরিয়েছে তিনিই রক্ষা করবেন।
কামারপুকুরে যাওয়ার সময় আমবাগান, ভূতির খালের শশান ইত্যাদি স্থানে অনেকক্ষণ ধরে বসেছিলেন।
নলিনী শুনে চমকিয়ে উঠে বলল, “ওগাে পিসীমা, শুন বৌদিদি কী বলছে !
মা হেসে বললেন, ওদের কিছু হবে না ; ঠাকুর ওদের সর্বদা রক্ষে কচ্ছেন(শ্রীশ্রী সারদাদেবী ব্রামচারী অক্ষয়চৈতন্য পৃষ্ঠা ২২১)

১৩৩৯ সালে দোল পূর্ণিমার আবীর খেলায় কোন ছেলের অসাবধানতাবশত আমার কানের ঠিক পেছনে রঙের ঘটীর আঘাত লেগে মূৰ্ছিতপ্রায় হয়ে পড়ি।
কান দিয়ে, দু'একদিন জল পড়ার পর রক্ত পুঁজ পড়তে আরম্ভ করে, অবস্থা ক্রমে খুবই খারাপ হতে থাকে।
জন্মাষ্টমীর রাতে যন্ত্রণা ভীষণাকার ধারণ করল এবং ঘা মস্তিস্ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে রাতের মধ্যেই একটা কিছু হয়ে যাবে এরূপ নিশ্চিন্ত অভিমত দিয়ে ডাক্তার চলে গেলেন।

সে রাতে অনবরত ভুল বকতে বকতে হঠাৎ মনে হলাে
  • আমার ঘাড়ের উপর কে বসল ?
  • আমি কি এত ভার সইতে পারি ?

আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
শিগগির আলাে জ্বাল, দেখি।
তারপর প্রকৃতিস্থ হয়ে বললাম, মা এসেছিলেন, তাঁর পরণে লাল নরুন পেড়ে কাপড়।
এরপর ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরদিন ডাক্তার এসে সবিস্ময়ে দেখলেন রােগ সেরে গেছে।
কানের ভিতর আঁচড়ের দাগের মত দেখা যাচ্ছে।
তাছাড়া কোথাও কিছু নেই।
তিন-চার দিন পরে তাও আর দেখা গেল না
শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাপ্রাপ্ত সুরমা রায় বৃহত্তর পাবনার সিরাজগঞ্জ

No comments

Powered by Blogger.