শ্রীশ্রীমায়ের কৃপালাভে ধন্য_হেমচন্দ্র দত্ত
শ্রীশ্রীমা তাকে কৃপা করে মন্ত্রদীক্ষা দান করেছিলেন_হেমচন্দ্র দত্ত
[হেমচন্দ্র দত্ত বৃহত্তর ঢাকার মানিকগঞ্জ জেলা-এর খেরুপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯০৩ সন থেকে ১৯২০ সন পর্যন্ত সুদীর্ঘ আঠার বছর তিনি শ্রীশ্রীমায়ের সান্নিধ্যে আসার দুর্লভ সৌভাগ্য লাভ করেন।
শ্রীশ্রীমাকে দেখেছেন কখনাে কোলকাতায়,
১৯০৩ সন থেকে ১৯২০ সন পর্যন্ত সুদীর্ঘ আঠার বছর তিনি শ্রীশ্রীমায়ের সান্নিধ্যে আসার দুর্লভ সৌভাগ্য লাভ করেন।
শ্রীশ্রীমাকে দেখেছেন কখনাে কোলকাতায়,
কখনাে জয়রামবাটীতে, এমনকি কামারপুকুরেও।
শ্রীশ্রীমা তাকে কৃপা করে মন্ত্রদীক্ষা দান করেছিলেন।
তিনি ছিলেন অকৃতদার।
মৃত্যুর দিন সকালে তিনি একখানি সােফায় চুপ চাপ বসেছিলেন। এভাবেই জপ করতেনদিনে অন্তত পঞ্চাশ হাজার।
সেদিন খুব ভােরে ঘুম থেকে উঠে নিজের হাতে যাতায়াতের রাস্তাটি পরিষ্কার করে তাতে ফুল বিছিয়ে দিয়েছিলেন।
যেন কোন দেবতার আবির্ভাব হবে! হঠাৎ দেখা গেল,
শ্রীশ্রীমা তাকে কৃপা করে মন্ত্রদীক্ষা দান করেছিলেন।
তিনি ছিলেন অকৃতদার।
মৃত্যুর দিন সকালে তিনি একখানি সােফায় চুপ চাপ বসেছিলেন। এভাবেই জপ করতেনদিনে অন্তত পঞ্চাশ হাজার।
সেদিন খুব ভােরে ঘুম থেকে উঠে নিজের হাতে যাতায়াতের রাস্তাটি পরিষ্কার করে তাতে ফুল বিছিয়ে দিয়েছিলেন।
যেন কোন দেবতার আবির্ভাব হবে! হঠাৎ দেখা গেল,
দেহটি উপবিষ্ট অবস্থাতে রয়েছে।
কিন্তু তিনি দেহের আধার পরিত্যাগ করে চলে গেছেন! এ গ্রন্থে হেমচন্দ্র দত্তকে লেখা শ্রীশ্রীমায়ের কয়েকটি মূল্যবান পত্র সংকলিত হয়েছে।
কিন্তু তিনি দেহের আধার পরিত্যাগ করে চলে গেছেন! এ গ্রন্থে হেমচন্দ্র দত্তকে লেখা শ্রীশ্রীমায়ের কয়েকটি মূল্যবান পত্র সংকলিত হয়েছে।
খেরুপাড়া গ্রাম থেকে মহকুমা-শহর (বর্তমানে জেলা) মানিকগঞ্জ ছিল।
প্রায় ষােল মাইল দূরে।
আমার বয়স যখন দশ-এগার বছর তখন লেখাপড়ার সুবিধার জন্য মানিকগঞ্জের একটি বাড়িতে রাখা হয়েছিল আমাকে সেখানে মন টিকত না।
মাসে অন্তত দুবার পায়ে হেঁটে বাড়ি চলে যেতাম।
পড়াশুনাতে মেধাবী ছিলাম বলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক খুব স্নেহ করতেন।
একদিন তিনি স্কুলে তার ঘরে টেবিলের কাছে ডেকে নিয়ে সেখানে রাখা শ্রীরামকৃষ্ণের একখানি ছবি দেখিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন ঃ
“ইনি কে বল দেখি !”
আমি তখন খানিকটা সময় অপলক দৃষ্টিতে ছবিখানি দেখে বললাম ঃ
“নাম জানি না, তবে এঁকে আমি দেখেছি।
” প্রধান শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলেন,
“কোথায় দেখেছিস?
ঘুমের মধ্যে?
” আমি বললাম, না, নিজের চোখে।
যে-বাড়িতে আমি থাকি।
সেখানে যাওয়ার রাস্তাটা নদীর ধার দিয়ে।
শ্মশানের জায়গাটিতে বড় ভয় করে।
সেখানে তিনি একটা আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকেন।
নদীর বাতাসে তাঁর গায়ের কাপড় উড়তে থাকে।
তাঁকে দেখে আমার সব ভয় চলে যায়।
প্রধান শিক্ষক শুনে অবাক হয়ে যান।
মনে হয়, তিনি ঠাকুরের খুব ভক্ত ছিলেন।
তবে বেলুড় মঠের সঙ্গে তার যােগাযােগ ছিল কিনা,
মাসে অন্তত দুবার পায়ে হেঁটে বাড়ি চলে যেতাম।
পড়াশুনাতে মেধাবী ছিলাম বলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক খুব স্নেহ করতেন।
একদিন তিনি স্কুলে তার ঘরে টেবিলের কাছে ডেকে নিয়ে সেখানে রাখা শ্রীরামকৃষ্ণের একখানি ছবি দেখিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন ঃ
“ইনি কে বল দেখি !”
আমি তখন খানিকটা সময় অপলক দৃষ্টিতে ছবিখানি দেখে বললাম ঃ
“নাম জানি না, তবে এঁকে আমি দেখেছি।
” প্রধান শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলেন,
“কোথায় দেখেছিস?
ঘুমের মধ্যে?
” আমি বললাম, না, নিজের চোখে।
যে-বাড়িতে আমি থাকি।
সেখানে যাওয়ার রাস্তাটা নদীর ধার দিয়ে।
শ্মশানের জায়গাটিতে বড় ভয় করে।
সেখানে তিনি একটা আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকেন।
নদীর বাতাসে তাঁর গায়ের কাপড় উড়তে থাকে।
তাঁকে দেখে আমার সব ভয় চলে যায়।
প্রধান শিক্ষক শুনে অবাক হয়ে যান।
মনে হয়, তিনি ঠাকুরের খুব ভক্ত ছিলেন।
তবে বেলুড় মঠের সঙ্গে তার যােগাযােগ ছিল কিনা,
বাংলাদেশে শ্রীমা সারদাদেবীর শিষ্যবৃন্দ ও তাঁদের স্মৃতিমালা শ্রীশ্রীমা তাকে কৃপা করে মন্ত্রদীক্ষা দান করেছিলেন_হেমচন্দ্র দত্ত
মানিকগঞ্জ থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হলাম এবং সেখান থেকে আই.এ. এবং বি.এ. পাস করি ।
কলেজ জীবনের প্রথম দিকে ১৯০৩ সনে কোলকাতায় সর্বপ্রথম শ্রীশ্রীমা সারদাদেবীকে দর্শন করার সুযােগ লাভ করি এবং সেবছরেই জয়রামবাটীতে তাঁর নিকট দীক্ষালাভে ধন্য হই ।
শ্রীশ্রীমায়ের স্নেহমমতার কথা আর কি বলব-মার স্নেহ ছিল অলৌকিক, অপার্থিব ।
সাধারণ পরিবারে মায়েদের কাছে সে-গভীরতা আশা করাই যায় না।
এমন কি শ্রীশ্রীমা একবার নাম ধরে ডাক দিলে মনে হতাে, যেন জন্মান্তর ঘটে গেল ।
কলেজ জীবনের প্রথম দিকে ১৯০৩ সনে কোলকাতায় সর্বপ্রথম শ্রীশ্রীমা সারদাদেবীকে দর্শন করার সুযােগ লাভ করি এবং সেবছরেই জয়রামবাটীতে তাঁর নিকট দীক্ষালাভে ধন্য হই ।
শ্রীশ্রীমায়ের স্নেহমমতার কথা আর কি বলব-মার স্নেহ ছিল অলৌকিক, অপার্থিব ।
সাধারণ পরিবারে মায়েদের কাছে সে-গভীরতা আশা করাই যায় না।
এমন কি শ্রীশ্রীমা একবার নাম ধরে ডাক দিলে মনে হতাে, যেন জন্মান্তর ঘটে গেল ।
ব্যতীত শ্রীরামকৃষ্ণের সকল অন্তরঙ্গ পার্ষদকেই দেখার সুযােগ হয়েছে।
১৯২১ সনে স্বামী অভেদানন্দ পাশ্চাত্যদেশে পঁচিশ বছর ধরে বেদান্তধর্ম প্রচারের পর স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
তার সঙ্গেও আমার ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল।
- এছাড়া স্বামী ব্রহ্মানন্দ,
- স্বামী সারদানন্দ,
- মাস্টারমশায় (শ্রীম),
- গিরিশচন্দ্র,
- যােগীনমা,
- গৌরী-মা,
- গােলাপ-
স্বামী ব্রহ্মানন্দ চাইতেন,
আমি যেন মঠে যােগদান করি।
তার ইচ্ছে ছিল, আমাকে প্রচারকার্যের জন্য আমেরিকায় প্রেরণ করার।
কিন্তু শ্রীশ্রীমা আমাকে মঠে যােগদানের ব্যাপারে সম্মতি জ্ঞাপন করেননি ।
স্বামী ব্রহ্মানন্দ আমার সম্বন্ধে বলতেন,
তার ইচ্ছে ছিল, আমাকে প্রচারকার্যের জন্য আমেরিকায় প্রেরণ করার।
কিন্তু শ্রীশ্রীমা আমাকে মঠে যােগদানের ব্যাপারে সম্মতি জ্ঞাপন করেননি ।
স্বামী ব্রহ্মানন্দ আমার সম্বন্ধে বলতেন,
ছেলেটির তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, পাথর ছুঁড়ে ওর বুদ্ধি চলে।
পরবর্তিকালে বৃহত্তর ঢাকার মুন্সিগঞ্জ জেলার আবদুল্লাপুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমার কর্মজীবনের আরম্ভ ।
আমি সেখান থেকে শ্রীশ্রীমাকে চিঠিপত্র লিখেছি এবং সেসবের উত্তরও পেয়েছি।
এভাবে শ্রীশ্রীমার অনেক পত্ৰই পেয়েছি এবং সবগুলি ১৯১৭ সনের বিভিন্ন সময়ে লেখা।
আবদুল্লাপুর পরিত্যাগ করার পর প্রধান শিক্ষকের চাকরি নিয়ে আমাকে বারবার কর্মস্থল পরিবর্তন করতে হয়েছিল।
তখন এ ব্যাপারে একবার শ্রীশ্রীমায়ের নিকট উপদেশ প্রার্থনা করে পত্র দিয়েছিলাম।
তিনি উত্তরে লিখলেন,
আমি সেখান থেকে শ্রীশ্রীমাকে চিঠিপত্র লিখেছি এবং সেসবের উত্তরও পেয়েছি।
এভাবে শ্রীশ্রীমার অনেক পত্ৰই পেয়েছি এবং সবগুলি ১৯১৭ সনের বিভিন্ন সময়ে লেখা।
আবদুল্লাপুর পরিত্যাগ করার পর প্রধান শিক্ষকের চাকরি নিয়ে আমাকে বারবার কর্মস্থল পরিবর্তন করতে হয়েছিল।
তখন এ ব্যাপারে একবার শ্রীশ্রীমায়ের নিকট উপদেশ প্রার্থনা করে পত্র দিয়েছিলাম।
তিনি উত্তরে লিখলেন,
“বাবাজীবন, চাকরি সম্বন্ধে আমি কি বুঝিব বল ।
যেখানে গেলে তােমার সুবিধা হয় সেখানেই যাইবে।”...।
জয়রামবাটীতে একদিন মা আমাকে বললেন ঃ
কিছু খাবে না। কামারপুকুরে গিয়ে শীতলামায়ের পূজা দিয়ে প্রসাদ নিয়ে আসবে।” পরদিন পূজা দেওয়া
“কাল খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নেবে।
কিছু খাবে না। কামারপুকুরে গিয়ে শীতলামায়ের পূজা দিয়ে প্রসাদ নিয়ে আসবে।” পরদিন পূজা দেওয়া
Sri Sri Ramakrishna |
শ্রীশ্রীমা তাকে কৃপা করে মন্ত্রদীক্ষা দান করেছিলেন_হেমচন্দ্র দত্ত
হলো কিন্তু এবিষয়ে শ্রীশ্রীমাকে আর কোন প্রশ্ন করা হয়নি।
তারপর প্রায় ত্রিশ বছর কেটে গেল।
হঠাৎ আমার আদি বাসস্থান খেরুপাড়া গ্রামে।
মারাত্মক বসন্ত রােগ মহামারীর আকারে দেখা দিল।
রক্ষা পেল শুধু আমাদের বাড়িটি।
এ প্রসঙ্গে মনে পরে অন্তর্যামিনী শ্রীশ্রীমায়ের ত্রিকালদর্শী দৃষ্টির কথা।
তিনি তাই কত আগে থাকতেই শীতলা মায়ের পূজা দিয়ে ব্যবস্থাটি করে রেখেছিলেন।
অবশ্য দেশ বিভাগের পর মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে অবসরজীবন যাপন করি।
কাছেই সারগাছি আশ্রম।
সেখানে স্বামী প্রেমেশানন্দের সঙ্গে বিশেষ পরিচয় থাকায় মাঝে মাঝে যাতায়াত ছিল।
আর অবসর জীবনে জপ-ধ্যান করে শ্রীশ্রীমায়ের কৃপা উপলব্ধি করার চেষ্টা করতাম
শ্রীশ্রীমা তাকে কৃপা করে মন্ত্রদীক্ষা দান করেছিলেন_হেমচন্দ্র দত্ত
তারপর প্রায় ত্রিশ বছর কেটে গেল।
হঠাৎ আমার আদি বাসস্থান খেরুপাড়া গ্রামে।
মারাত্মক বসন্ত রােগ মহামারীর আকারে দেখা দিল।
রক্ষা পেল শুধু আমাদের বাড়িটি।
এ প্রসঙ্গে মনে পরে অন্তর্যামিনী শ্রীশ্রীমায়ের ত্রিকালদর্শী দৃষ্টির কথা।
Sri Sri Ramakrishna |
তিনি তাই কত আগে থাকতেই শীতলা মায়ের পূজা দিয়ে ব্যবস্থাটি করে রেখেছিলেন।
অবশ্য দেশ বিভাগের পর মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে অবসরজীবন যাপন করি।
কাছেই সারগাছি আশ্রম।
সেখানে স্বামী প্রেমেশানন্দের সঙ্গে বিশেষ পরিচয় থাকায় মাঝে মাঝে যাতায়াত ছিল।
আর অবসর জীবনে জপ-ধ্যান করে শ্রীশ্রীমায়ের কৃপা উপলব্ধি করার চেষ্টা করতাম
শ্রীশ্রীমা তাকে কৃপা করে মন্ত্রদীক্ষা দান করেছিলেন_হেমচন্দ্র দত্ত
সারদা মায়ের প্রনাম মন্ত্র......
নম: যথাগ্নের্দাহিকা শক্তি, রামকৃষ্ণে স্থিতা হি যা।
সর্ববিদ্যাস্বরূপাং তাং সারদাং প্রণমাম্যহম্।।
No comments